সংজ্ঞা বদলে রাতারাতি ৪০ লক্ষ অন্ধত্ব 'হ্রাস' ভারতে

"আরো আলো আরো আলো এই নয়নে, প্রভু, ঢালো" নয়নে আলো প্রবেশ করল কিনা জানা নেই, অথচ অন্ধত্ব কেটে গেল। রাতারাতি ভারত থেকে ৪০ লক্ষ মানুষের অন্ধত্ব ঘুচে গেল। তবে একথা মনে করার কোনও কারণ নেই যে, চিকিত্সা বা বিরল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই ৪০ লক্ষ ভারতীয় দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন। আসল বিষয়টি হল, অন্ধত্বের সংজ্ঞা বদলে গেল ভারতে। আর তাতেই সরকারি হিসেবে 'আন্ধত্ব থেকে  মুক্তি' পেলেন ৪০ লক্ষ ভারত সন্তান। কিন্তু কী ছিল ভারতে অন্ধত্বের সংজ্ঞা? নতুন সংজ্ঞাটাই বা কী?  

Updated By: Apr 20, 2017, 07:46 PM IST
সংজ্ঞা বদলে রাতারাতি ৪০ লক্ষ অন্ধত্ব 'হ্রাস' ভারতে

ওয়েব ডেস্ক: "আরো আলো আরো আলো এই নয়নে, প্রভু, ঢালো", নয়নে আলো প্রবেশ করল কিনা জানা নেই, অথচ অন্ধত্ব 'কেটে গেল'। রাতারাতি ভারত থেকে ৪০ লক্ষ মানুষের অন্ধত্ব ঘুচে গিয়েছে। তবে একথা মনে করার কোনও কারণ নেই যে, চিকিত্সা বা বিরল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই ৪০ লক্ষ ভারতীয় দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন। আসল বিষয়টি হল, অন্ধত্বের সংজ্ঞা বদলে গেল ভারতে। আর তাতেই সরকারি হিসেবে 'আন্ধত্ব থেকে  মুক্তি' পেলেন ৪০ লক্ষ ভারত সন্তান। কিন্তু এতদিন কী ছিল ভারতে অন্ধত্বের সংজ্ঞা? নতুন সংজ্ঞাটাই বা কী?  

কোনও ব্যক্তি ৬ মিটার দূর থেকে আঙুল গুণতে না পারলে তাঁকে অন্ধ হিসাবে চিহ্নিত করা হত ভারতে। সেই ১৯৭৬ সাল থেকে চার দশক ধরে চলছিল এই নিয়ম। কিন্তু বর্তমানে ৬ মিটারের বদলে ৩ মিটার দূর থেকে আঙুল দেখতে না পাওয়াকে অন্ধত্বের নির্ণায়ক হিসাবে গ্রহণ করা হল। আর এতে ভর করেই ভারতে নথিভূক্ত অন্ধের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লক্ষ থেকে কমে ৮০ লক্ষে এসে দাঁড়াল। কিন্তু কেন এই বদল?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতেই এই বদল, এমনটাই জানা যাচ্ছে 'ইন্ডিয়া টুডে' সূত্রে। হু-এর লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে ভারতকে ২০২০ সালের মধ্যে মোট জনসংখ্যার ০.৩ শতাংশ অন্ধত্ব কমানোর লক্ষ্যে কাজ করতে বলা হয়েছে। তাই ন্যাশানাল প্রোগ্রাম ফর কন্ট্রোল অফ ব্লাইন্ডনেসের (NPCB) পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, বর্তমানে NPCB-এর নাম বদলে 'দ্য ন্যাশানাল প্রোগ্রাম ফর কন্ট্রোল অফ ব্লাইন্ডনেস অ্যান্ড ভিজুয়াল ইমপেয়ারমেন্ট' রাখা হয়েছে।
 

জানা যাচ্ছে, পুরানো সংজ্ঞা অনুযায়ী দেশের 'বিপুল সংখ্যক' দৃষ্টিহীনদের জন্য আন্তর্জাতীক মঞ্চে 'মুখ পুড়ত' ভারতের। তাই, ৬ মিটার থেকে ৩ কমিয়ে ৩ মিটারে আসায় পরিস্থিতি অনেকটাই 'সামাল' দিতে পারবে ভারত, মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কিন্তু এভাবে সংজ্ঞা বদল কি সত্যিই চক্ষুস্মান হতে পারবে দেশ? দেশের চোখে কি ধরা পড়ব আত্মবিশ্বাস? প্রশ্ন অনেক, উত্তর নেই।

(আরও পড়ুন- বন্ধ্যা নয়, সন্তানসম্ভবা জোড়া যোনি নিয়ে জন্মানো মহিলা)

.