তৃণমূল কেমন দল? বোঝার চেষ্টায় সিপিএম

তৃণমূল কেমন দল? উনিশ বছরেও সিদ্ধান্ত হয়নি। এতদিন পর কেন্দ্রীয় কমিটিতে নোট পাঠালেন বুদ্ধ-বিমান-সূর্যরা। তা দেখে শত্রুপক্ষের চরিত্র নির্ধারণ করবে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটি। আপাতত আলিমুদ্দিন বলছে, ফ্যাসিজমের বৈশিষ্ট্য থাকলেও তৃণমূল সম্পূর্ণ ফ্যাসিস্ট নয়। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করলেও সাম্প্রদায়িক নয়। আর যে কোনও ইস্যুতে ঝাঁপিয়ে পড়া, মানুষের কাছে মমতাকে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। 

Updated By: Jan 16, 2017, 10:27 PM IST
তৃণমূল কেমন দল? বোঝার চেষ্টায় সিপিএম

ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূল কেমন দল? উনিশ বছরেও সিদ্ধান্ত হয়নি। এতদিন পর কেন্দ্রীয় কমিটিতে নোট পাঠালেন বুদ্ধ-বিমান-সূর্যরা। তা দেখে শত্রুপক্ষের চরিত্র নির্ধারণ করবে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটি। আপাতত আলিমুদ্দিন বলছে, ফ্যাসিজমের বৈশিষ্ট্য থাকলেও তৃণমূল সম্পূর্ণ ফ্যাসিস্ট নয়। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করলেও সাম্প্রদায়িক নয়। আর যে কোনও ইস্যুতে ঝাঁপিয়ে পড়া, মানুষের কাছে মমতাকে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। 

তৃণমূল কী? দলটা কেমন? দলনেত্রী কী ভাবেন? কী করেন? রাস্তায়- মাঠে এ সবই মানুষকে বারবার বোঝাতে চেষ্টা করেছেন আলিমুদ্দিনের নেতারা। কিন্তু, তৃণমূলের চরিত্র সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত তাঁরা নিজেরাই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি! 

 

অন্যান্য দলের চরিত্র সম্পর্কে পার্টির মতামত পার্টিতে নথিবদ্ধ থাকলেও জাতীয় দল তৃণমূল সম্পর্কে তা নেই কেন? সাংগঠনিক প্লেনামে প্রকাশ কারাট, মানিক সরকারদের এই প্রশ্নের মুখে পড়েন আলিমুদ্দিনের নেতারা। এরপরই শুরু হয় উত্তর খোঁজার পালা। 

তৃণমূলের শ্রেণী চরিত্র কী? তাদের সমর্থনের উত্‍স কোথায়? তৃণমূলের শক্তি এবং দুর্বলতার জায়গা কোনগুলি? 

AKG ভবনের নেতাদের কথায় উত্তর খুঁজতে বসেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুরা। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী এবং রাজ্য কমিটির সদস্যদেরও মতামত দিতে বলেন তাঁরা। অনেকে ভেবেচিন্তে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে নোট পাঠিয়েছেন তাঁরা। তাতে বলা হয়েছে, তৃণমূলকে সম্পূর্ণ ফ্যাসিস্ট দল বলা যাবে না। যদিও, তাদের মধ্যে ফ্যাসিজমের চরিত্র রয়েছে। BJP-র মতো সাম্প্রদায়িক দল নয় তৃণমূল। তবে, ধর্ম নিয়ে তারা রাজনীতি করে। রাজ্যে BJP-র উত্থানের জন্য তারা দায়ী। রাজ্যে নৈরাজ্য ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য তৃণমূল দায়ী। মানুষের স্বার্থের দিকে তাদের নজর নেই। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে যে কোনও ইস্যুতে মানুষের কাছে পৌছে যান তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তাঁর সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প গ্রাম বাংলার মানুষের মন কেড়েছে।  

১৯৯৮-এ তৃণমূলের জন্মের পর কেটে গেছে উনিশ বছর। ঘাসফুল ঝড়ে সঙ্কটের মুখে বঙ্গ সিপিএমের অস্তিত্ব। এতদিন পর নেতাদের মনে হয়েছে তৃণমূল কী সে সম্পর্কে দলের কাছে একটা লিখিত সিদ্ধান্ত থাকা ভাল! রাজনৈতিক মহল বলছে, তৃণমূলের শ্রেণী চরিত্র দলে নথিবদ্ধ থাকলে জাতীয় ইস্যুতে সব দলের যৌথ আন্দোলনের প্রশ্নে সিপিএমের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।  

তবে এতকিছুর পর যেটা মূল প্রশ্ন তার উত্তর পাওয়া যাবে কি? বেহাল সংগঠনের উন্নতি হবে? তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর দিয়ে রাজ্যে শক্তিশালী বিরোধীর জায়গায় পৌছতে পারবে সিপিএম? উত্তরটা বোধহয় দলের নেতাদের কাছেও নেই।  

 

.