বাম ঐক্যকে শক্তিশালী করতে সাহায্য কংগ্রেসের

সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পক্ষেই সওয়াল করলেন অধিকাংশ নেতা। ইয়েচুরি-কারাটদের সামনে রাজ্য কমিটির আটচল্লিশজন সদস্যই জোটের পক্ষে সওয়াল করেন। তবে জোটের বিরোধিতায় মুখ খুলেছেন হুগলি ও বর্ধমান জেলার বেশ কয়েকজন নেতা।

Updated By: Feb 13, 2016, 03:50 PM IST
বাম ঐক্যকে শক্তিশালী করতে সাহায্য কংগ্রেসের

ওয়েব ডেস্ক: সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পক্ষেই সওয়াল করলেন অধিকাংশ নেতা। ইয়েচুরি-কারাটদের সামনে রাজ্য কমিটির আটচল্লিশজন সদস্যই জোটের পক্ষে সওয়াল করেন। তবে জোটের বিরোধিতায় মুখ খুলেছেন হুগলি ও বর্ধমান জেলার বেশ কয়েকজন নেতা।

উত্তরবঙ্গের সদস্যদের মুখে আবার শোনা গেছে শিলিগুড়ি মডেলের কথা। শুক্রবার, দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকের প্রথম দিন নির্বাচনী কৌশল কী হবে সে বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাতে বলা হয়েছে, তৃণমূলকে হারানোর জন্য জোট চাই। কেন কংগ্রেস সহ তৃণমূল বিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা উচিত তার ব্যাখ্যাও রয়েছে রিপোর্টে। আছে বাম ঐক্যকে শক্তিশালী করার কথাও।

কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সিপিএম নেতারা জোটের পক্ষে একশো শতাংশ রাজি। তবে বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, মালদা সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলার নেতারা এ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। সিপিএম রাজ্য কমিটিতে জোট বিরোধীদের প্রশ্ন-

কংগ্রেসের সঙ্গে নীতিগত মিল নেই। তাহলে কি শুধু জেতার জন্যই জোট?  জোট হলে কি আদৌ কংগ্রেসের ভোট সিপিএমের বাক্সে পড়বে?  আসন সমঝোতার মাপকাঠি কী হবে?  ভোটের পর কংগ্রেসের ভূমিকা কী হবে তা কি এখন বলা সম্ভব?

আলিমুদ্দিনের জোটপন্থীদের যুক্তি হল, কংগ্রেসকে ছাড়া একা বামেদের পক্ষে তৃণমূলকে হারানো সম্ভব নয়। নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে জোট নিয়ে ইতিমধ্যেই উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। জোট হলে অনেক বেশি চাপে থাকবে শাসকদল ও প্রশাসন। ভোটের পর কংগ্রেস কী করবে তা নিয়ে এখন বেশি ভাবলে সুযোগ নষ্ট ছাড়া আর কিছু হবে না। বিজেপিকে হঠাতে যদি কংগ্রেসকে সমর্থন করা যায় তাহলে তৃণমূলকে হঠাতে কেন তাদের সঙ্গে যাওয়া যাবে না?

মধ্যপন্থীরা আবার বলছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি জোট না করে কৌশলগত অবস্থান নেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে যেখানে কংগ্রেস শক্তিশালী সেখানে দুর্বল প্রার্থী দিতে পারে বামেরা। জোট নিয়ে আলিমুদ্দিন-বিধান ভবন মাথা ঘামালেও তাতে তৃণমূলের কিছু যায় আসে না। বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাট, মানিক সরকাররা দলের রাজ্য কমিটির সদস্যদের কথা শুনেছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও ছিলেন প্রথম দিনের বৈঠকে।

.