হাইকোর্টের তিরস্কার দুই পুলিস কর্তাকে, তিরস্কৃত ভারতী ঘোষ এবং রাজীব কুমার

Updated By: Feb 10, 2017, 06:43 PM IST
হাইকোর্টের তিরস্কার দুই পুলিস কর্তাকে, তিরস্কৃত ভারতী ঘোষ এবং রাজীব কুমার

 

ওয়েব ডেস্ক: একই দিনে হাইকোর্টে তিরস্কৃত দুই পুলিস কর্তা। রাজীব কুমার আর ভারতী ঘোষ। কলকাতা পুলিসের হলফনামার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি। অন্যদিকে বলপাইয়ের গাছ কাটা মামলায় প্রধানবিচারপতির ক্ষোভের মুখে ভারতী ঘোষ।

 

আগেই জারি হয়েছিল আদালত অবমাননার রুল। এবার  নগরপালের  হলফনামার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট। ব্রিগেডে RSS-এর সভার আবেদন নগরপালকে দেখার নির্দেশ দেয় আদালত। তবে  বিষয়টি দেখেন জয়েন্ট সিপি। এতেই ক্ষুব্ধ হয় হাইকোর্ট। সিপি সশরীরের হাজিরা দেওয়ার পরেও হলফনামার নির্দেশ দেয় আদালত। শুক্রবার সেই  হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, সিপি গঙ্গাসাগর মেলায় ব্যস্ত থাকায় জয়েন্ট সিপিকে দায়িত্ব দেন। 

 

এই যুক্তিতে আদৌ খুশি নয় আদালত। ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, পুলিস কমিশনার যে গঙ্গাসাগর মেলাতেই ব্যস্ত ছিলেন তার প্রমাণ কোথায়? হলফনামায় তার প্রমাণ নেই। ৪ সপ্তাহের মধ্যে সে প্রমাণ দিতে হবে। ক্ষুব্ধ বিচারপতি আরও বলেন, আইনের বদলে পুলিস যদি নিজস্ব নিয়ম চালায় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ওই অফিসারের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ উঠেছে। পুলিসের উচিত আদালতের মর্যাদা রক্ষা করা। 

 

বলপাই গ্রাম পঞ্চায়েতে গাছ কাটা নিয়ে একই দিনে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের ভর্তসনার মুখে  পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিস সুপার ভারতী ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুরের বলপাই গ্রাম পঞ্চায়েতে রাস্তা তৈরির জন্য ১১০৫টি গাছ বেশি কাটা হয়। বনদফতর পঞ্চায়েত প্রধানকে ৬লক্ষ ৪৪হাজার টাকা জরিমানা করে। টাকা না পেয়ে পুলিসে অভিযোগ করে বন দফতর। তাতেও কিছু হয়নি। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট মামলা হয়। সেই মামালতেই জেলার SP ভারতী ঘোষ এদিন হাজিরা দেন  হাইকোর্টে। 

 

শুক্রবার রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে । OC-কে সরানো হয়েছে। জরিমানার টাকাও জমা হয়ে গেছে। তবে এই উত্তরে মোটেই খুশি হতে পারেনি আদালত। প্রধান বিচারপতি বলেন, ২৬ অক্টোবর প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়। ১৬ নভেম্বর সব পক্ষের সঙ্গে কথাও হয়ে যায় তাহলে, ২৬ জানুয়ারি FIR হল কেন? এতদিন কী করছিল পুলিস? রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, বন দফতরের হাতে তদন্তভার চলে গেছে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী তখন বলেন, FIR দেরিতে হল কেন? কেন গ্রেফতার করা হল না? চার সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 

 

.