অসুস্থ মান্নানকে ফোন রাহুল গান্ধীর

অসুস্থ আবদুল মান্নানের খোঁজখবর নিতে ফোন রাহুল গান্ধীর। ফোনেই জোরদার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বার্তা। সঙ্গে আশ্বাস, তিনি সঙ্গে আছেন। আজ বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় অসুস্থ মান্নানকে। ইতিমধ্যে তাঁর অস্থায়ী পেসমেকার বসেছে।

Updated By: Feb 9, 2017, 11:13 PM IST
অসুস্থ মান্নানকে ফোন রাহুল গান্ধীর

ওয়েব ডেস্ক: অসুস্থ আবদুল মান্নানের খোঁজখবর নিতে ফোন রাহুল গান্ধীর। ফোনেই জোরদার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বার্তা। সঙ্গে আশ্বাস, তিনি সঙ্গে আছেন। আজ বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় অসুস্থ মান্নানকে। ইতিমধ্যে তাঁর অস্থায়ী পেসমেকার বসেছে।

হাসপাতাল-বন্দি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিধানসভা থেকেই বুধবার সরাসরি তাকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। অসুস্থ নেতার খবর নিতে, এদিন তাঁকে ফোন করেন রাহুল গান্ধী।  

আরও পড়ুন- রাজ্যে এবার একই দিনে জোড়া বাজেট!
 

রাহুল জানতে চান, এখন কেমন আছেন মান্নান সাহেব?
আছি একরকম। বলেন তিনি।   
তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। এই শুভকামনার সঙ্গেই কংগ্রেস সহ সভাপতির কড়া বার্তা, আন্দোলন চালিয়ে যান। আমি সঙ্গে আছি।

বুধবার বিধানসভা কাণ্ডের পর, বিরোধী দলনেতাকে লেনিন সরণীর এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধস্তাধস্তির কারণে শরীরে বেশ কিছু জায়গায় আঘাত পান মান্নান, দ্রুত চিকিত্‍সা হয়। রক্তচাপও ছিল অস্বাভাবিক বেশি। তাঁর হার্টে ব্লক থাকায় তড়িঘড়ি অস্থায়ী পেসমেকার বসাতে হয়।

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় আবদুল মান্নানকে। হার্টের আরও উন্নত মানের চিকিত্‍সার জন্যই এই ব্যবস্থা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ICU-তে ১১০ নম্বর বেডে রাখা হয়েছে আবদুল মান্নানকে।

চিকিত্‍সার জন্য ৮ সদস্যের দল গঠন করা হয়েছে। পাকাপাকিভাবে পেসমেকার বসানোর পক্ষপাতী ডাক্তাররা। আবদুল মান্নানের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে। কংগ্রেসের নেতারা তো ছিলেনই, এদিন হাসপাতালে মান্নানকে দেখতে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

আরও পড়ুন- অনলাইনে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, ধৃত ৩

বুধবারও হাসপাতালে মান্নানকে দেখে আসেন, রাজ্য মন্ত্রিসভার দুই চিকিত্‍সক-মন্ত্রী, সঙ্গে মানস ভুঁইঞা। এদিনও ফাঁক রাখল না শাসক পক্ষ। রাজনৈতিক মহলের মত, এ আসলে সৌজন্যের মাঝেই কড়া নজরদারিও। মান্নানের অসুস্থতার সুযোগে যাতে, সহানুভূতির হাওয়া টেনে নিতে না পারে কংগ্রেস। শাসক শিবির তাই নিশ্চিত করতে চায়।

.