মহিষবাথানে আত্মঘাতী তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী, আতস কাঁচের নীচে সম্পর্কের টানাপোড়েন

Updated By: Aug 1, 2017, 10:51 PM IST
মহিষবাথানে আত্মঘাতী তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী, আতস কাঁচের নীচে সম্পর্কের টানাপোড়েন

ওয়েব ডেস্ক: সম্পর্কের টানাপোড়েনের জের। মহিষবাথানে আত্মঘাতী তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। আজ সকালে নিজের ঘরেই মেলে শ্রীমন্ত পালের পচাগলা ঝুলন্ত দেহ। হাতে ছিল একটি চিঠি ও এক তরুণীর ছবি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, প্রেমে আঘাত পেয়েই আত্মঘাতী হয়েছেন শ্রীমন্ত।

বাড়ি ইন্দাস। কিন্তু, কর্মস্থল সেক্টর-ফাইভ। তাই  মহিষবাথানের এ বাড়িতে ভাড়া থাকতেন শ্রীমন্ত পাল। মঙ্গলবার সকালে এখান থেকেই উদ্ধার হল তাঁর পচাগলা দেহ। রবিবার শেষবার দেখা গিয়েছিল শ্রীমন্তকে। বন্ধুবান্ধদের সঙ্গে আড্ডা মেরে বাড়ি ফিরে যান। তারপর থেকে নিখোঁজ। মঙ্গলবার সকালে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়ায় এলাকায়। শ্রীমন্তের ঘর লাগোয়া ড্রেন থেকে রক্ত বের হতে দেখা যায়। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। দরজার বাইরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন তদন্তকারীরা। সেখানেই মেলে শ্রীমন্তের ঝুলন্ত দেহ। শ্রীমন্তের হাতে একটি চিঠি ও ফটো ধরা ছিল। ফটোগ্রাফে শ্রীমন্তের সঙ্গে এক তরুণীকে দেখা যায়। শ্রীমন্তের মৃত্যুর খবর ছড়াতেই ছুটে আসেন তাঁর সহকর্মীরা।

সম্পর্কের টানাপোড়েনে মৃত্যু? শ্রীমন্তের সহকর্মীদের দাবি, এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শ্রীমন্তের। ওই তরুণী শ্রীমন্তের সঙ্গে ওই কোম্পানিতেই কাজ করতেন। কয়েক মাস আগে দুজনের সম্পর্ক ভেঙে যায়, তারপর শ্রীমন্তের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করেন তরুণী। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও শ্রীমন্তকে ব্লক করে দেন। সহকর্মীদের সঙ্গে কিছুটা একমত পুলিসও। তদন্তকারীদের দাবি, প্রেমে আঘাত পেয়েই সম্ভবত আত্মঘাতী হয়েছেন শ্রীমন্ত। (আরও পড়ুন- মৃত্যুফাঁদ বাতিস্তম্ভ )

.