দলকে 'স্লিম অ্যান্ড ট্রিম' করতে চেয়ে প্রস্তাব সিপিএমে

সংগঠন ঢেলে সাজাতে এবার নিষ্ক্রিয় কর্মী ছেঁটে ফেলতে চায় সিপিএম। রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব পেশ করলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। একইসঙ্গে লোকাল ও জোনাল কমিটি মিলিয়ে দিয়ে এরিয়া কমিটি গড়ে তুলতে চায় দল। রাজ্য প্লেনামে আলোচনার পরই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। ২০০৮ থেকে শুরু হয়েছে রক্তক্ষরণ। ৩৪ বছর একচেটিয়া ক্ষমতায় থাকা দল এখন তৃতীয় স্থানে। লাফিয়ে কমছে কর্মীর সংখ্যা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দলকে চাঙ্গা করতে সংগঠন ঢেলে সাজাতে চাইছে সিপিএম নেতৃত্ব।  প্লেনামের আগে রাজ্য কমিটির বৈঠকে সেই লক্ষ্যে একগুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করলেন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

Updated By: Aug 17, 2016, 09:24 PM IST
দলকে 'স্লিম অ্যান্ড ট্রিম' করতে চেয়ে প্রস্তাব সিপিএমে

ওয়েব ডেস্ক: সংগঠন ঢেলে সাজাতে এবার নিষ্ক্রিয় কর্মী ছেঁটে ফেলতে চায় সিপিএম। রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব পেশ করলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। একইসঙ্গে লোকাল ও জোনাল কমিটি মিলিয়ে দিয়ে এরিয়া কমিটি গড়ে তুলতে চায় দল। রাজ্য প্লেনামে আলোচনার পরই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। ২০০৮ থেকে শুরু হয়েছে রক্তক্ষরণ। ৩৪ বছর একচেটিয়া ক্ষমতায় থাকা দল এখন তৃতীয় স্থানে। লাফিয়ে কমছে কর্মীর সংখ্যা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দলকে চাঙ্গা করতে সংগঠন ঢেলে সাজাতে চাইছে সিপিএম নেতৃত্ব।  প্লেনামের আগে রাজ্য কমিটির বৈঠকে সেই লক্ষ্যে একগুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করলেন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

আরও পড়ুন- সিপিএম বা কংগ্রেস নয়, মমতার চিন্তা এখন এই একটাই! কী সেটা!

সাংগঠনিক রদবদল

দীর্ঘ সময় ধরে পার্টি ক্যাডাররাই ছিল সিপিএমের সম্পদ। কিন্তু, পালাবদলের পর থেকেই কমতে শুরু করেছে সক্রিয় দলীয় কর্মীর সংখ্যা।

এই মুহূর্তে সিপিএমে মোট সদস্য সংখ্যা ৩ লক্ষের কাছাকাছি।

যার মধ্যে হোলটাইমার প্রায় ৩০০০।

দলের প্রায় সব শাখা সংগঠনেই সদস্য সংখ্যা কমেছে।

৫ বছরে কৃষক সভার সদস্য ১ কোটি ৫৪ লক্ষ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৮২ লক্ষ।

ছাত্র সংগঠনেও সদস্যসংখ্যা কমেছে, ১৩ লক্ষ থেকে কমে সদস্য সংখ্যা এখন ৭ লক্ষ।

মূলত শাসকদলের চাপ, মিথ্যে মামলার হুমকি, ক্ষমতায় না থাকার কারণে গত কয়েকবছরে বেড়েছে নিষ্ক্রিয় কর্মীর সংখ্যা। দলকে চাঙ্গা করতে এবার নিষ্ক্রিয় কর্মী ছেঁটে ফেলতে চায় সিপিএম।

নিষ্ক্রিয় কর্মী ছাঁটাই
২০১১-য় দলে নিষ্ক্রিয় কর্মী ছিল মোট সদস্যের ১২.৪৫%

২০১৬-য়  নিষ্ক্রিয় কর্মী মোট সদস্যের ১৭.০৫%

এই বিপুল সংখ্যক নিষ্ক্রিয়কর্মী এবার ছেঁটে ফেলতে চায় দল। সূর্যকান্ত মিশ্রের প্রস্তাব..দলে নিষ্ক্রিয় কর্মী ছেঁটে ফেলা হবে।

নবীন-প্রবীণ কোনও নিষ্ক্রিয় কর্মীই বরদাস্ত করা হবে না। কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি, দলকে স্লিম অ্যান্ড ট্রিম করতে জোনাল কমিটি তুলে দিতে চাইছে সিপিএম। কোনও সিদ্ধান্ত রাজ্য -জেলা-জোন হয়ে আঞ্চলিক কমিটিতে পৌছতে বিস্তর সময় লাগে। এই পরিস্থিতিতে  যে কোনও ইস্যুতে দ্রুত পথে নামতে সময় নষ্ট করতে চাইছে না নেতৃত্ব।

লোকাল ও জোনাল কমিটি মিলিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দুই কমিটি মিলিয়ে সক্রিয় এরিয়া কমিটি গড়ে তোলা হবে। এরিয়া কমিটির সদস্যদের বাধ্যতামূলকভাবে দলের হোলটাইমার হতেই হবে

রাজ্য কমিটির বৈঠকের পেশ হওয়া এসব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে প্লেনামে। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। প্লেনামের পরই ঠিক হয়ে যাবে ভবিষ্যতে কোনপথে হাঁটবে সিপিএম। 

.