সিপিএমের পলিটব্যুরোয় তীব্র মতবিরোধ! বাংলা লবির ভরসা এখন 'ওপেনার' গৌতম দেব!

  কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রশ্নে তীব্র মতবিরোধ সিপিএম পলিটব্যুরোয়। দিল্লিতে এদিনের বৈঠকে কারাট গোষ্ঠী অভিযোগ করে, পশ্চিম বঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করা হয়েছে। এই মর্মে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করার কথাও বলা হয় বৈঠকে। এর পাল্টা যুক্তি হিসাবে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জোটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা যাবে না এমন কথাও বলা হয়নি। এই বিতর্কের মধ্যে পড়ে মধ্যপন্থী অবস্থান নেন সীতারাম ইয়েচুরি।

Updated By: Jun 17, 2016, 11:46 PM IST
সিপিএমের পলিটব্যুরোয় তীব্র মতবিরোধ! বাংলা লবির ভরসা এখন 'ওপেনার' গৌতম দেব!

ওয়েব ডেস্ক:  কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রশ্নে তীব্র মতবিরোধ সিপিএম পলিটব্যুরোয়। দিল্লিতে এদিনের বৈঠকে কারাট গোষ্ঠী অভিযোগ করে, পশ্চিম বঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করা হয়েছে। এই মর্মে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করার কথাও বলা হয় বৈঠকে। এর পাল্টা যুক্তি হিসাবে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জোটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা যাবে না এমন কথাও বলা হয়নি। এই বিতর্কের মধ্যে পড়ে মধ্যপন্থী অবস্থান নেন সীতারাম ইয়েচুরি।

 

এদিকে হোমওয়ার্ক করে প্রস্তুত বঙ্গব্রিগেড আগামী কালের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের জন্য। জোটের পক্ষে সওয়াল করতে ব্যাট হাতে ওপেনিংয়ের দায়িত্বে গৌতম দেব। প্রস্তুত অন্য ব্রিগেডের নেতারাও। আগামিকাল শুরু হওয়া তিনদিনের সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে যে ঝড় উঠতে চলেছে, তারই পূর্বাভাস দিয়ে গেল পলিটব্যুরো বৈঠক।

 

তৃণমূলের সন্ত্রাস রুখতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ছাড়া কোনও বিকল্প ছিল না। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না গড়লে সব বুথে এজেন্ট বসাতে পারতাম কি না সন্দেহ।

 

কেন্দ্রীয় কমিটি কোনও গীতা বা বেদ নয় যে সব অক্ষরে অক্ষরে মেনে নিতে হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে শহিদ বেদিতে মালা দেওয়ার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। শেষ রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রকাশ কারাট-সীতারাম ইয়েচুরিদের উপস্থিতিতে জোরালোভাবে উঠে এসেছিল জোটের পক্ষে এই বক্তব্য। শুক্রবার সিপিএমের পলিটব্যুরো বৈঠকে উঠে এল পাল্টা যুক্তিও।

 

দল কি তাহলে পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিচার করেই চলবে? যে রাজ্যে যার সঙ্গে হাত মেলালে সুবিধা, সেই রাজ্যে কি তার সঙ্গেই হাত মেলাতে হবে?

 

কংগ্রেস ও বিজেপির সঙ্গে সমদূরত্ব রাখতে হবে। তাহলে কি আমরা আর কংগ্রেসকে বুর্জোয়া দল মনে করি না?

 

এই মতগুলি নিয়েই আলোচনা হবে কেন্দ্রীয় কমিটির তিনদিনের বৈঠকে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি নাকি নীতি, কোন পথে আগামীদিনে হাঁটবে সিপিএম, কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে মূল এজেন্ডা সেটাই। পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বিপর্যয়ের পর পলিটব্যুরো তড়িঘড়ি বিবৃতি দিয়ে জানায়,  কেন্দ্রীয় সম্মেলনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে জোট পরিপন্থী। এই নিয়ে অবশ্য রাজ্য কমিটির বৈঠকে যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ছিলেন সূর্য-ব্রিগেডের নেতারা। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে জোটপন্থীরা অনেকটাই সংখ্যালঘু। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে দল আগামীদিনে কোন পথে চলবে, তা অনেকটাই চূড়ান্ত হবে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে। বাংলা থেকে আসা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দেব, শ্যামল চক্রবর্তী, রামচন্দ্র ডোম, বাসুদেব আচারিয়ারা কিন্তু রীতিমতো প্রস্তুত। আর বাংলা ব্রিগেডকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব জোটের অন্যতম কারিগর গৌতম দেবের কাঁধে।

.