ইয়াকুবের জীবনের শেষের কয়েক ঘণ্টা

সারারাতে কিছু খাননি। শুধু বলেছিলেন, আমি মরবই, শেষবার একবার মেয়েকে দেখতে চাই। রাত ৩টার সময় ঘুম থেকে তোলা হয় ইয়াকুবকে। ১৫ মিনিট বাদে স্নান করানো হয়। এরপরেই পাঁচ মিনিটের মধ্যে নতুন পোশাক পরিয়ে তৈরি করা হয়। এর মধ্যেই এসে পড়ে জলখাবার। জীবনের শেষ খাবার খেতে চাননি। সাড়ে ৩টা থেকে দু ঘণ্টা ধরে ধর্মগুরুর উপস্থিতিতে করেন বিশেষ প্রার্থনা। সাড়ে পাঁচটার কিছু পরে ইয়াকুবকে সাজা পড়ে শোনানো হয়।  এরপর অপরাধের পর ক্ষমাপ্রার্থনা করেন ইয়াকুব। ৫.৩৫-এ স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে ফিট ঘোষণা করেন ডাক্তররা। ৫.৪৫-এ সেলের মধ্যে ঘুরিয়ে সহ -বন্দিদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়। সহ-বন্দিদের মধ্যে কেউ কেউ আবেগে ভেঙে পড়েন। ৬টা থেকে ৬টা ২৫-ধর্মগ্রন্থ পাঠ ও বিশ্রাম করেন। ৬টা ২৫-এ তাঁর সেল থেকে ২৫ পা দূরে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। ৬.৩৫-এ ফাঁসি কাঠে ঝোলানো হয়। নিয়ম মেনে ৩০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখার পর ৭টায় ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ২১ বছর জেলে থাকার পর মুম্বই বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্তর জীবনকাহিনিতে দাঁড়ি পড়ে।

Updated By: Jul 30, 2015, 08:15 AM IST

ওয়েব ডেস্ক: সারারাতে কিছু খাননি। শুধু বলেছিলেন, আমি মরবই, শেষবার একবার মেয়েকে দেখতে চাই। রাত ৩টার সময় ঘুম থেকে তোলা হয় ইয়াকুবকে। ১৫ মিনিট বাদে স্নান করানো হয়। এরপরেই পাঁচ মিনিটের মধ্যে নতুন পোশাক পরিয়ে তৈরি করা হয়। এর মধ্যেই এসে পড়ে জলখাবার। জীবনের শেষ খাবার খেতে চাননি। সাড়ে ৩টা থেকে দু ঘণ্টা ধরে ধর্মগুরুর উপস্থিতিতে করেন বিশেষ প্রার্থনা। সাড়ে পাঁচটার কিছু পরে ইয়াকুবকে সাজা পড়ে শোনানো হয়।  এরপর অপরাধের পর ক্ষমাপ্রার্থনা করেন ইয়াকুব। ৫.৩৫-এ স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে ফিট ঘোষণা করেন ডাক্তররা। ৫.৪৫-এ সেলের মধ্যে ঘুরিয়ে সহ -বন্দিদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়। সহ-বন্দিদের মধ্যে কেউ কেউ আবেগে ভেঙে পড়েন। ৬টা থেকে ৬টা ২৫-ধর্মগ্রন্থ পাঠ ও বিশ্রাম করেন। ৬টা ২৫-এ তাঁর সেল থেকে ২৫ পা দূরে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। ৬.৩৫-এ ফাঁসি কাঠে ঝোলানো হয়। নিয়ম মেনে ৩০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখার পর ৭টায় ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ২১ বছর জেলে থাকার পর মুম্বই বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্তর জীবনকাহিনিতে দাঁড়ি পড়ে।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইয়াকুবের জীবনের শেষের কয়েক ঘণ্টা-

ভোর ৩টা- ঘুম থেকে তোলা হল।

৩.১৫- স্নান করানো হল

৩.২০-নতুন পোশাক পরানো হল

৩.২৫-জলখাবার দেওয়া হল

৩.৩০ থেকে ৫.৩০টা- ধর্মগুরুর উপস্থিতিতে বিশেষ প্রার্থনা

৫.৩৫-স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে ডাক্তররা ফিট ঘোষণা করলেন

৫.৪০-সাজা পরে শোনানো হল

৫.৪৫-অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেন

৫.৪৭-সেলের মধ্যে ঘুরিয়ে সহ-বন্দিদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হল।

৬টা-ধর্মগ্রন্থ পাঠ করলেন

৬.২০-সেলের ভিতর ঢুকে বিশ্রাম নিলেন

৬.২৫-সেল থেকে ২৫ পা হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হল ফাঁসির মঞ্চে

৬.৩৫- ফাঁসিকাঠে ঝোলানো হল।

৩০ মিনিট ধরে ফাঁসি কাঠে ঝুলিয়ে রাখা হল।

৭.০৫-ডাক্তররা মৃত বলে ঘোষণা করলেন

৭.১০-পরিবারের দেওয়া তিনটি শর্ত খতিয়ে দেখার পর ইয়াকুবের দেহ মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল।

৭.৩০-দেহের ময়নাতদন্ত হল।

 

 

.