সরকারি চাকরি ছেড়ে কোটিপতি হলেন এই যুবক

এই বাজারে একটা সরকারি চাকরি করতেন তিনি। কিন্তু ছেড়ে দিলেন। চাকরি ছেড়ে চাষবাস করা শুরু করলেন। আর রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন। হ্যাঁ, সংক্ষেপে বলতে গেলে এটাই হরিষ দান্দেভের রূপকথার গল্প।

Updated By: Jul 12, 2016, 04:59 PM IST
সরকারি চাকরি ছেড়ে কোটিপতি হলেন এই যুবক

ওয়েব ডেস্ক: এই বাজারে একটা সরকারি চাকরি করতেন তিনি। কিন্তু ছেড়ে দিলেন। চাকরি ছেড়ে চাষবাস করা শুরু করলেন। আর রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন। হ্যাঁ, সংক্ষেপে বলতে গেলে এটাই হরিষ দান্দেভের রূপকথার গল্প।

অবাক হচ্ছেন তো? ভাবছেন এটা তো অসম্ভব। কিন্তু না, এটা সম্ভব। যদি আপনার কিছু ব্যতিক্রমী কাজ করার ইচ্ছা থাকে আর নিজের উপর ভরসা থাকে যে আপনি পারবেনই, তাহলে চাষ করেও বছরে দু' কোটি টাকা রোজগার করা কোন ব্যাপার না। ঠিক এই শিক্ষাটাই দিয়েছেন রাজস্থানের এই যুবক।

রাজস্থানের, জয়সলমিরের এক কৃষক পরিবারের ছেলে হরিষ দান্দেভ। প্রাক্তন পেশা- জয়সলমির মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি। বর্তমান পেশা অ্যালোভেরা চাষ। কিন্তু, এতো 'ছিল রুমাল, হয়ে গেল বেড়াল' কেস। কী ভাবে হল হরিষের এই পেশা পরিবর্তন?

গত বছর দিল্লিতে একটি কৃষি মেলাতে গিয়েছিলেন হরিষ। এমনিতেই হরিষের ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পেশা ভাল লাগত না। তার, উপরে ওই কৃষি মেলায় গিয়ে তার চোখ খুলে গেল আধুনিক কৃষি প্রষুক্তির ব্যবহার দেখে। ভাবলেন চাষবাস করবেন।

যেমন ভাবা, তেমন কাজ। দিল্লি থেকে নিজের এলাকায় ফিরেই হরিষ হাত দিলেন অ্যালোভেরা চাষে। তাঁর পৈতৃত জমিতে ১২০ একর জুড়ে ৮০ হাজার অ্যালোভেরা চারা পুতলেন হরিষ।

তারপর দেখতে দেখতে, আজ হরিষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অ্যালোভেরা রফতানি করেন। তাঁর জমিতে বর্তমানে সাত লক্ষ অ্যালোভেরা গাছ।

এই অ্যালোভেরা কৃষকের উত্পাদিত ফসলের একটা বড় অংশ কিনে নেয় রামদেবের 'পতঞ্জলি'। হরিষের ক্ষেতের অ্যালোভেরা থেকেই পতঞ্জলির অ্যালোভেরা জুস তৈরি হয়।

আসল নোট চেনার এই নতুন উপায়টি জানেন?

এই কোটিপতি কৃষক জয়সলমির থেকে ৪৫ কিমি দূরে ধাইসার এলাকায় নিজের অফিস খুলেছেন, নাম দিয়েছেন 'নেচারেলো অ্যাগ্রো'।

তাহলে কী বুঝলেন, চাষবাস করেও কোটিপতি হওয়া যায় শুধু হতে হবে 'জরা হটকে'।

.