ডুয়ার্সের চা বাগান শ্রমিকদের ভাত জোগাচ্ছে ভূটান

ডুয়ার্সের চা বাগান শ্রমিকদের পেটের ভাত জোগাচ্ছে ভূটান। নোট বাতিলের জন্য বাগান মালিকরা মজুরি দিতে পারছেন না। এই অবস্থায় দিন চালাতে ডুয়ার্সের চা শ্রমিকরা ভূটানে গিয়ে কাজ করছেন। ভূটানি টাকায় মজুরি পেয়ে ভূটানেই বাজার সেরে বাড়ি ফিরছেন ডুয়ার্সের চা শ্রমিকরা।

Updated By: Nov 18, 2016, 10:30 PM IST
ডুয়ার্সের চা বাগান শ্রমিকদের ভাত জোগাচ্ছে ভূটান

ওয়েব ডেস্ক: ডুয়ার্সের চা বাগান শ্রমিকদের পেটের ভাত জোগাচ্ছে ভূটান। নোট বাতিলের জন্য বাগান মালিকরা মজুরি দিতে পারছেন না। এই অবস্থায় দিন চালাতে ডুয়ার্সের চা শ্রমিকরা ভূটানে গিয়ে কাজ করছেন। ভূটানি টাকায় মজুরি পেয়ে ভূটানেই বাজার সেরে বাড়ি ফিরছেন ডুয়ার্সের চা শ্রমিকরা।

নোট বাতিলের জেরে মিলছে না মজুরি। কাজের খোঁজে ভুটানে পাড়ি দিচ্ছেন ডুয়ার্সের চা বাগানের শ্রমিকরা। ভারত-ভূটান সীমান্তবর্তী এলাকার বেশিরভাগ চা বাগানেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। নাগরাকাটা ব্লকের কেরন, গ্রাসমোড়,লুকসান। ধূপগুড়ি ব্লকের আমবাড়ি, চামুর্চি, চুনাভাটি, কাঠালগুঁড়ি, পলাশবাড়ি। সবই সীমান্ত লাগোয়া প্রত্যন্ত এলাকার চাবাগান। নগদ টাকার চরম সংকট। টাকা বাতিল হওয়ায় বাগান কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে পারছে না। শ্রমিকদের হাতে টাকা নেই। তাই শ্রমিকরা ক্যাশের খোঁজে পাড়ি দিচ্ছেন ভুটান। পেট চালাতে এখন ভূটান- ই ভরসা।

আরও পড়ুন- নোট বাতিলের জেরে সুদের হার কমল ফিক্সড ডিপোজিটে

এদিক, চা শ্রমিকরা কাজে না আসায় কাঁচা চাপাতা তোলা যাচ্ছে না। পাতা বুড়িয়ে যাচ্ছে। যাঁরা বাইরে থেকে বাগানে পাতা তুলতে আসেন, সেই বিঘা শ্রমিকরাও টাকা না পাওয়ার ভয়ে আসছেন না। অর্থাত্‍ বাগান খোলা থাকলেও কার্যত ডুয়ার্সের অধিকাংশ বাগানে কাজ হচ্ছে না।

আরও পড়ুন- নতুন ২০০০ টাকার নোটের শক্তি পরীক্ষা

বাগান মালিকরা বলছেন, এইরকম অবস্থা বেশি দিন চললে চা শিল্পে বড়সড় ক্ষতি হবে । তাঁদের আক্ষেপ, ব্যাঙ্কে টাকা আছে, কিন্তু শ্রমিকদের দেওয়া যাচ্ছে না।

.