সরকারি কোনও সাহায্য ছাড়াই টিকে রয়েছে মেহেরপুরের তুলসীরানি বিদ্যাপীঠ

ভাঙা টালির চাল। ত্রিপলের ছাউনি। নোনা হাওয়ায় স্কুলের দেওয়ালও ঝুরঝুরে। বর্ষায়  জল পড়ে। এভাবেই, সরকারি কোনও সাহায্য ছাড়াই, টিকে রয়েছে মেহেরপুরের তুলসীরানি বিদ্যাপীঠ। তবে এত কিছু করেও মাধ্যমিক বোর্ডের স্বীকৃতি জোটেনি সুন্দরবনের এই স্কুলের।

Updated By: Apr 1, 2017, 08:07 PM IST
সরকারি কোনও সাহায্য ছাড়াই টিকে রয়েছে মেহেরপুরের তুলসীরানি বিদ্যাপীঠ

ওয়েব ডেস্ক: ভাঙা টালির চাল। ত্রিপলের ছাউনি। নোনা হাওয়ায় স্কুলের দেওয়ালও ঝুরঝুরে। বর্ষায়  জল পড়ে। এভাবেই, সরকারি কোনও সাহায্য ছাড়াই, টিকে রয়েছে মেহেরপুরের তুলসীরানি বিদ্যাপীঠ। তবে এত কিছু করেও মাধ্যমিক বোর্ডের স্বীকৃতি জোটেনি সুন্দরবনের এই স্কুলের।

জলজঙ্গলে ঘেরা সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমার মেহেরপুর। আলো নেই, বিদ্যুত নেই। নেই শিক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।  সমাজ ,সভ্যতা থেকে বহু দূরে এ যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। গ্রামের ছেলেপুলেদের পড়াশোনার ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। সেসময় কোনও হাইস্কুলই ছিল না এলাকায়। সময়টা ১৯৯০। অন্ধকারে আলো জ্বালাতে এগিয়ে আসেন এলাকারই ছয় শিক্ষিত তরুণ। ঘরের টাকায় তৈরি হয় স্কুল।  মেহেরপুর তুলসী রানী বিদ্যাপীঠ। এলাকার মানুষের কিছুটা সাহায্য নিয়ে তৈরি হয় স্কুলের চালা ঘর।

৯৭ সালে এই স্কুলের ছাত্ররা অন্য স্কুলের সাহায্য নিয়ে প্রথম মাধ্যমিক দেয়। এরপর সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে পড়ুয়ার সংখ্যা। বর্তমানে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪৫০। শিক্ষক -অশিক্ষক কর্মী ১৩ জন। স্কুলের কিছু পড়ুয়া মাস্টার ডিগ্রি করে সম্পূর্ণ বিনা বেতনে এই স্কুলেই শিক্ষকতার কাজ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু এখনও এ স্কুল মাধ্যমিকের বোর্ডের অনুমতি  পায়নি।

স্কুলের পাকা ছাদ নেই। বর্ষাকালে টালির চাল, আর প্লাসিটিকের ছাউনি দিয়ে চুঁইয়ে জল পড়ে । তবু অদম্য স্বপ্নের কাছে হার মানেনি কোনও বাধা। ঝড়-ঝাপটা দুর্যোগ উপেক্ষা করেই চলছে স্কুল। অন্ধকার গ্রামে জ্ঞানের আলোর জ্বালার স্বপ্নে বিভোর স্কুলের শিক্ষকরা।

.