অপহরণে বাধা পেয়ে জয়ন্তী সোরেনকে পিষে মারার ঘটনার পর আতঙ্কে গোটা পোলবা

রুখে দাঁড়িয়েছিল একরোখা মেয়ে। মুখচোখে দৃঢ়তা এনে স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, ভয় পান না। ওই পথেই যাবেন বারবার। তা না হলে পেয়ে বসবে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু পোলবাকাণ্ডের দুদিন পর হাসপাতাল থেকে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার সময় পূজা ওঁরাওয়ের বাবা বলে দিলেন, মেয়েকে আর কাজে পাঠাবেন না। অভিযুক্ত খালাসি এখনও পলাতক।

Updated By: Jun 26, 2016, 08:44 PM IST
অপহরণে বাধা পেয়ে জয়ন্তী সোরেনকে পিষে মারার ঘটনার পর আতঙ্কে গোটা পোলবা

ওয়েব ডেস্ক: রুখে দাঁড়িয়েছিল একরোখা মেয়ে। মুখচোখে দৃঢ়তা এনে স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, ভয় পান না। ওই পথেই যাবেন বারবার। তা না হলে পেয়ে বসবে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু পোলবাকাণ্ডের দুদিন পর হাসপাতাল থেকে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার সময় পূজা ওঁরাওয়ের বাবা বলে দিলেন, মেয়েকে আর কাজে পাঠাবেন না। অভিযুক্ত খালাসি এখনও পলাতক।

চোখের সামনে বেঘোরে প্রাণ হারাতে দেখেছেন প্রিয় বান্ধবীকে। তবুও ভয় পান না একরোখা মেয়েটি। কিন্তু হাসপাতাল থেকে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার সময় দিন- আনা-দিন-খাওয়া পরিবারটির কর্তা পরিষ্কার বলে দিলেন, আর মেয়েকে পাঠাতে চান না ওই পথে।

আরও পড়ুন অপহরণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে গাড়ির তলায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু তরুণীর

বীরশা ওঁরাওয়ের মতোই আতঙ্কে গোটা পোলবা। দিল্লি রোডের নির্জন পথে এখনও পা দিতে বুক কেঁপে উঠছে ওঁদের। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও কম নয়। সেই আতঙ্ক কাটাতে কিছুটা হলেও তত্পর হয়েছে পুলিস। আলাদা করে পুলিস পিকেট না বসলেও সুগন্ধার মোড় থেকে কামদেবপুর পর্যন্ত রাতে বাড়ানো হয়েছে পুলিসি টহল।

অপহরণে বাধা পেয়ে জয়ন্তী সোরেনকে পিষে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত গাড়িচালক রঞ্জিত বৈঠাকে রবিবার চুচুঁড়া আদালতে তোলা হয়। তাকে ৫দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জেরায় দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করেছে রঞ্জিত। পোলবাকাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন দীর্ঘক্ষণ দিল্লি রোড অবরোধ করে বিজেপি। চুঁচুড়া পুলিস লাইনেও অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

আরও পড়ুন হাইফাই হচ্ছে দিল্লি রোড, কিন্তু এই পথে নিরাপত্তা কোথায় মহিলাদের?

.