মাওবাদী সংশ্রবের অভিযোগে গ্রেফতার ১২ শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দিল পুলিস

জঙ্গলমহলে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক বারোজন ছাত্রছাত্রীকে শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দিতে বাধ্য হল পুলিস।  পুলিস হেফাজতে তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও বন্দিমুক্তি কমিটি। ছাত্র হেনস্থার অভিযোগে আগামীকাল ঝাড়গ্রাম মহকুমায় বনধ-এর ডাক দিয়েছে ঝাড়গ্রাম স্টুডেন্টস ফেডারেশন।

Updated By: Nov 3, 2011, 11:00 AM IST

জঙ্গলমহলে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক বারোজন ছাত্রছাত্রীকে শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দিতে বাধ্য হল পুলিস।  পুলিস হেফাজতে তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও বন্দিমুক্তি কমিটি। ছাত্র হেনস্থার অভিযোগে আগামীকাল ঝাড়গ্রাম মহকুমায় বনধ-এর ডাক দিয়েছে ঝাড়গ্রাম স্টুডেন্টস ফেডারেশন। নয়ই নভেম্বর কলকাতায় অল বেঙ্গল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সম্মেলন। আর তারই প্রচারে কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রামে গিয়েছিলেন ইউএসডিএফ-র সদস্যরা।
তাদের সঙ্গে ছিল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ও অন্যান্য ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরাও। সন্দেহজনক আচরণের অভিযোগে ওই ছাত্রদের মধ্যে বারোজন ছাত্রকে আটক করে পুলিস। পুলিসের দাবি, ধৃত ছাত্রছাত্রীদের যেখান থেকে আটক করা হয় ওই এলাকায় মাওবাদীদের একটি স্কোয়াডের ঘোরাফেরার খবর ছিল। সেই কারণেই ওই এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের সন্দেহজনক ঘোরাফেরা দেখে তাদের আটক করা হয় বলে বক্তব্য পুলিসের।
পুলিসের বিরুদ্ধে  মারধোরের অভিযোগ এনেছেন আটক ছাত্রছাত্রীরা।  থানায় বেশকিছুক্ষণ জিজ্ঞসাবাদের পর আটক হওয়া বারোজন ছাত্রছাত্রীকে ছেড়ে দেয় পুলিস। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। ঘটনার নিন্দা করেছে বন্দিমুক্তি কমিটিও। ছাত্রদের হেনস্থার ঘটনায় প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে লালগড় মঞ্চ। ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম মহকুমায় বনধ-এর ডাক দিয়েছে ঝাড়গ্রাম স্টুডেন্টস ফেডারেশন। জঙ্গলমহলে মিটিং মিছিলে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ, বিধি নিষেধের পর এবার ছাত্রছাত্রীদের প্রচারের কাজেও বাধা দেওয়ার  অভিযোগ উঠল। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী জুবি সাহা, দহিজুড়ি স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মিঠুন মাহাত, ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র নিশীথ মাহাত, ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের কমলেশ মাহাত ও ছাত্র সমাজের ভবেশ মাহাত-সহ আরও সাত জন। পুলিসের বক্তব্য, ধৃত ছাত্রছাত্রীদের যেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় তার কাছেই মাওবাদীদের একটি স্কোয়্যাডের ঘোরাফেরার খবর ছিল। নির্দিষ্ট একটি সংগঠনের তরফে প্রচার চালাতে গিয়ে এভাবে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন স্থানীয় ছাত্রছাত্রীরা।
   

.