বিমাননগরী নিয়ে সংশয়ে খোদ কর্ণধার

নামকরণের দিনই ভবিষত নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। আদৌ ব্যবসায়িক ভিত্তিতে টিঁকে থাকতে পারবে কি রাজ্যের প্রথম বিমাননগরী অন্য কেউ না, ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিমাননগরীর অন্যতম কর্ণধারই।

Updated By: Sep 19, 2013, 09:57 PM IST

নামকরণের দিনই ভবিষত নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। আদৌ ব্যবসায়িক ভিত্তিতে টিঁকে থাকতে পারবে কি রাজ্যের প্রথম বিমাননগরী অন্য কেউ না, ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিমাননগরীর অন্যতম কর্ণধারই। 
অন্ডালে প্রায় ১৯০০ একর জমির ওপর রাজ্যের প্রথম বিমাননগরী অ্যারেট্রপোলিস। ৬৫০ একর জমির ওপর এয়ারপোর্ট। বাকি জমিতে বিমাননগরী। এটাই ছিল পরিকল্পনা। যখন দুর্গাপুরে এই বিমাননগরীর পরিকল্পনা হয়, তখন সিঙ্গুরে টাটা মোটর্সের একলাখি গাড়ির কারখানা, শালবনিতে জিন্দলদের এশিয়ার বৃহত্তম ইস্পাত কারখানা সহ একাধিক বড় শিল্পের পরিকল্পনা চলছিল রাজ্যজুড়ে। যেসব বড় শিল্পের কথা মাথায় রেখে বিমাননগরীর পরিকল্পনা সেসব শিল্প হয় রাজ্য ছেড়ে চলে গেছে, নয় গভীর অনিশ্চয়তার সামনে। প্রশ্ন, এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বিমাননগরীর বাণিজ্যিক সাফল্য সম্ভব?
 
অন্ডালের বিমাননগরীতে ১২০০ একর জমির ওপর রিয়েল এস্টেট হওয়ার কথা। সাধারণভাবে এ ধরনের প্রকল্পে বিমানবন্দর থেকে নয়, বাণিজ্যিক সাফল্য আসে রিয়েল এস্টেট থেকে। অন্ডালের ক্ষেত্রে তা সম্ভব কি ? প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে সন্দিহান খোদ কর্ণধার। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও উঠেছে। কলকাতা বিমানবন্দরে প্রতিদিন ৫৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। কিন্তু বাস্তবে করেন মাত্র ১২ হাজার। আশি শতাংশ অব্যবহৃত থাকে। সেক্ষেত্রে অন্ডাল বিমানবন্দরে বছরে ৫ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। তা কতটা বাস্তবায়িত হবে?  এখনও পর্যন্ত এখান থেকে কোনও বিমান সংস্থাই উড়ান চালুর বিষয়ে আগ্রহ দেখায়নি।
এর ওপর রয়েছে আরও কিছু সমস্যা। সবচেয়ে বড় সমস্যা, রানওয়ের ওপর হাইটেনশন লাইন। তাছাড়া ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের অনুমোদনও এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। উপায়, হাইটেনশন লাইনকে প্রকল্পের বাইরে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু তার জন্য দরকার জমি। কিন্তু জমি দিতে কেউ রাজি নন জমির মালিকরা। সমস্যা আরও রয়েছে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন বা ডিজিসিএ-র অনুমোদন পেতে এখনও সময় লাগবে। অনুমোদন পাওয়ার পরেও পর্যবেক্ষণে রাখা হবে আরও চার মাস। কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, ইতিমধ্যেই আশি শতাংশ কাজ শেষ।
 

.