পুনর্মূল্যায়নের পরেও অকৃতকার্য ২৯ ছাত্রী

সংসদের আর্জি মেনে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার পরেও ২৯ জন ছাত্রীকে অকৃতকার্যই রাখার সিদ্ধান্ত নিল সন্তোষপুর স্কুল কর্তৃপক্ষ। আজই বেলা তিনটে নাগাদ সংসদের তরফে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে অনুরোধ করা হয়, যদি অবকাশ থাকে তাহলে অকৃতকার্য ছাত্রীদের নিয়ে স্কুলের সিদ্ধান্ত যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়।

Updated By: Dec 21, 2012, 07:18 PM IST

সংসদের আর্জি মেনে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার পরেও ২৯ জন ছাত্রীকে অকৃতকার্যই রাখার সিদ্ধান্ত নিল সন্তোষপুর স্কুল কর্তৃপক্ষ। আজই বেলা তিনটে নাগাদ সংসদের তরফে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে অনুরোধ করা হয়, যদি অবকাশ থাকে তাহলে অকৃতকার্য ছাত্রীদের নিয়ে স্কুলের সিদ্ধান্ত যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়।
সংসদের আর্জি মেনে পুনর্মূল্যায়নের পরেও প্রথম সিদ্ধান্তই বজায় রাখল স্কুল। পাস করানোর দাবিতে টানা ২১ ঘণ্টা শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে রাখে সন্তোষপুর ঋষি অরবিন্দ বিদ্যাপীঠের উনত্রিশ জন ছাত্রী। এমনকি শিক্ষিকাদের কাছে খাবার-জল পৌঁছতেও বাধা দেয় তারা। সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। খাতা এবং ট্যাবুলেশন শিটও নিয়ে যায় সংসদ। স্কুলের গ্রেস নম্বর দিয়ে পাস করানোর ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতারও অভিযোগ তোলে তারা। এমনকি ফেল করা ছাত্রীদের ফের পরীক্ষার নির্দেশ দেয় সংসদ।
যদিও শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে পিছু হঠে তারা।  কিন্তু ইতিমধ্যেই সংসদের সিদ্ধান্ত রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীদের প্ররোচনা দিয়েছে বলে অভিযোগ। আর তার জেরেই বিভিন্ন স্কুলে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। যে সন্তোষপুর স্কুলকে নিয়ে এত কাণ্ড, সেই স্কুল কর্তৃপক্ষই শুক্রবার জানিয়ে দিল, অকৃতকার্য ২৯ জনকে তারা কোনওভাবেই পাস করাচ্ছে না।
সংসদের তরফে এদিন বেলা তিনটে নাগাদ একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, ফেল করা ছাত্রীদেরহ নিীয়ে সিদ্ধান্ত স্কুলই নেবে। সেক্ষেত্রে যদি অবকাশ থাকে, তাহলে স্কুল যেন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে। শুক্রবার কর্তৃপক্ষ, পরিচালন সমিতি ও শিক্ষকদের বৈঠকে প্রথমেই সিদ্ধান্ত হয়, পুনরায় পরীক্ষা নয়। তবে শুধুমাত্র সংসদের আর্জি মেনেই ২৯ জনের খাতা পুনরায় পরীক্ষা করেন শিক্ষিকারা। কিন্তু তা সত্বেও ফলের কোনও পরিবর্তন হয়নি।
শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, যদি প্রথম সিদ্ধান্ত থেকে স্কুল সরে আসত, তাহলে আগামী দিনে ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এই বার্তাই যেত যে, পড়াশুনো না করে শুধুমাত্র আন্দোলনেই পাস করা সম্ভব।

.