নির্বাচন কমিশনে জাখিল হলফনামা বলছে তৃণমূলের সব সাংসদই কোটিপতি

এই মুহুর্তে তৃণমূলের প্রায় সব সাংসদই কোটিপতি। নির্বাচন কমিশনের কাছে দাখিল করা তাঁদের হলফনামা সেকথাই বলছে। কোটিপতিদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন কল্যাণ ব্যানার্জি। তাঁর পরে রয়েছেন শতাব্দী রায়, তাপস পাল, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসূন ব্যানার্জি সহ আরও অনেকে। দু হাজার চোদ্দ সালের লোকসভা নির্বাচনে কমিশনের কাছে দাখিল করা হলফনামায় তৃণমূল প্রার্থীদের তাঁদের সম্পত্তির যে তথ্য দিয়েছেন তাতে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ তৃণমূল সাংসদের সম্পত্তির পরিমান গত পাঁচ বছরে প্রায় তিনগুন বা তার বেশি বেড়েছে।

Updated By: Apr 29, 2014, 06:00 PM IST

এই মুহুর্তে তৃণমূলের প্রায় সব সাংসদই কোটিপতি। নির্বাচন কমিশনের কাছে দাখিল করা তাঁদের হলফনামা সেকথাই বলছে। কোটিপতিদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন কল্যাণ ব্যানার্জি। তাঁর পরে রয়েছেন শতাব্দী রায়, তাপস পাল, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসূন ব্যানার্জি সহ আরও অনেকে। দু হাজার চোদ্দ সালের লোকসভা নির্বাচনে কমিশনের কাছে দাখিল করা হলফনামায় তৃণমূল প্রার্থীদের তাঁদের সম্পত্তির যে তথ্য দিয়েছেন তাতে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ তৃণমূল সাংসদের সম্পত্তির পরিমান গত পাঁচ বছরে প্রায় তিনগুন বা তার বেশি বেড়েছে।

শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। ২০১৪-র শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। ২০০৯ সালে তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিলো ১ কোটি ৬১ লক্ষ টাকার। ২০১৪ সালে সেই সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকায়। এরমধ্যে অস্থাবর সম্পত্তি-৬ কোটি ৮২ লক্ষ টাকার। স্থাবর সম্পত্তি- ২ কোটি ৩ লক্ষ টাকার। অর্থাত্‍ গত পাঁচ বছরে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৭ কোটি টাকারও বেশি।

শতাব্দী রায়

বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ। ২০১৪-র বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। ২০০৯ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিলো ১ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার। তবে তাঁর ২০১৪-য় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৪ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার। বিলাস বহুল ৩ টি ফ্ল্যাট, ৩ টি গাড়ি ও সোনার গয়না মিলিয়ে গত পাঁচ বছরে তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে তিনগুনেরও বেশি।

তাপস পাল

কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। ২০০৬ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৭০ লক্ষ টাকার। ২০০৯ সালে সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬ লক্ষ টাকায়। ২০১৪-র হলফনামা অনুযায়ী তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকার। স্থাবর সম্পত্তি- ১ কোটি ১ লক্ষ টাকার। অস্থাবর সম্পত্তি- ১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকার।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন ও ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ৪২ লক্ষ টাকার। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকার।

প্রসূন ব্যানার্জি

হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। এক বছর আগে হাওড়া উপনির্বাচনে জেতার সময়ে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিলো ৫০ লক্ষ টাকার। ২০১৪-র হলফনামা অনুযায়ী এখন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি টাকারও বেশি। অর্থাত্‍ গত এক বছরে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দ্বিগুন বেড়েছে।

শেখ নুরুল ইসলাম

বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ। জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১১ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ লক্ষ টাকায়। পাঁচ বছরে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ছয়গুন।

এই তালিকায় রয়েছে আরও বেশকিছু নাম

বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেন। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ সাড়ে ৪ কোটি টাকা। ধনীতম প্রার্থীর তালিকায় রয়েছে বাইচুং ভূটিয়ার নামও।

অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস বা এ ডি আর নামের একটি সংস্থা হলফনামা ও তথ্য বিশ্লেষণ করে তৃণমূলের বেশকিছু সাংসদের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য দিয়েছে যাঁরা ইউপি এ সরকারে প্রায় চারবছর মন্ত্রী থেকেছেন।

এডিআর এর রিপোর্ট অনুযায়ী

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুলতান আহমেদের সম্পত্তি বেড়েছে ৭৫ শতাংশ।

সৌগত রায়ের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৮০ শতাংশ।

চৌধুরী মোহন জাটুয়ার সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৪০ শতাংশ।

শিশির অধিকারীর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৪৭ শতাংশ।

তৃণমূল সাংসদদের সম্পত্তির তালিকা সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে এই সব সাংসদরা গত পাঁচ বছরে জনহীতকর কাজ কতটা করেছেন আর সম্পত্তি বৃদ্ধিতে কতটা মন দিয়েছেন তা নিয়ে।

.