অনুব্রতর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন

উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন এফআইআর দায়ের করতে বললেও তাতে গুরুত্ব দিলেন না স্বরাষ্ট্রসচিব। জেলাশাসককেও গোটা ঘটনার রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। ঘটনার পর দু`দিন কেটে গেলেও জেলাশাসকের থেকে কোনও রিপোর্টই হাতে পায়নি কমিশন।

Updated By: Jul 20, 2013, 11:05 AM IST

উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন এফআইআর দায়ের করতে বললেও তাতে গুরুত্ব দিলেন না স্বরাষ্ট্রসচিব। জেলাশাসককেও গোটা ঘটনার রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। ঘটনার পর দু`দিন কেটে গেলেও জেলাশাসকের থেকে কোনও রিপোর্টই হাতে পায়নি কমিশন।
ভালোই আছেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রীর দুই জনসভাতেই দেখা গেছে তার সদম্ভ পদচারনা। সভায় জেলা নেতাকে দেখা গেছে বেশ খোশমেজাজেই। মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চে প্রবেশের পর অবশ্য হঠাত্ই উধাও হয়ে যান জেলা সবাপতি। যদিও দলের অন্দরের জল্পনা নিজের ভাবমুর্তি ঠিক রাখতে অনুব্রতকেই এড়িয়ে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে প্রশাসনিক কর্তাদের সমর্থন যে অনুব্রতর পাশেই তা স্পষ্ট হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব ও বীরভূম জেলা শাসকের ভূমিকাতেই। উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন এফআইআর দায়ের করতে বললেও তাতে গুরুত্ব দেননি  স্বরাষ্ট্রসচিব।  বুধবার বীরভূমের সভায় উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন অনুব্রত মণ্ডল। পরদিনই স্বরাষ্ট্রসচিবকে এফআইআর দায়েরের জন্য বলে  কমিশন।
এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার রিপোর্ট বীরভূমের জেলাশাসকের কাছ থেকে চেয়ে পাঠানো হয় কমিশনের তরফে। আটচল্লিশ ঘণ্টা কেটে গেলেও কমিশনের কাছে জমা পড়েনি কোনও রিপোর্ট। নেওয়া হয়নি কোনও প্রশাসনিক ব্যবস্থা। শুক্রবার সকালে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন রবিলাল সোরেন। অনুব্রত মণ্ডল উস্কানিমূলক মন্তব্য করার পর রবিলাল সোরেনের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।  তবে কী দলের অন্দরের জল্পনাই সত্যি। রাখে দিদি মারে কে।

.