বিন্দিয়া চমকেগি...

পুজো আর মাত্র কয়েক দিন দূরে। জামা জুতোর পাট মিটিয়ে বঙ্গ ললনারা খুশিয়াল মেজাজে এখন ভীষণ ব্যস্ত সাজুগুজুর সামগ্রী সংগ্রহে। বছরের বাকি দিন গুলোতে পশ্চিমি পোশাকের রমরমা থাকলেও পুজোর সাজের মেনুতে ভারতীয় সালোয়ার কামিজ, চুড়িদার এবং চিরন্তনী শাড়ি না থাকলে ওয়ার্ডরোব এক্কেবারে পানসে। আর ভারতীয় পোষাকের সঙ্গে মানোনসই চুড়ি, দুল হার তো থাকেই তবে ছোট্ট একটা জিনিস না থাকলে সব সাজই যে বড় অসম্পূর্ণ। টিপ। ১০০ শতাংশ খাঁটি ভারতীয় সাজ। দুই ভুরুর মাঝে ছোট্ট এক কুঁচি টিপ এক মুহূর্তে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পাড়ে দৃষ্টির গভীরতা। পালটে দিতে পারে চাহনির মানে। `বিন্দিয়া`র চমকে যুগ যুগ ধরে কত পুরুষ হৃদয়ে যে তীর বিদ্ধ হয়েছে, কত ঋষি মুনির যে নিদ্রা ভঙ্গ হয়েছে, কত পুরুষালি পাষাণ মন গলে গিয়ে বানভাসি হয়েছে তার সত্যি কোন ইয়ত্তা নেই। পুজোর ঠিক আগেই তাই আমরা এবার না হয় টিপ সন্ধানী হলাম।

Updated By: Oct 7, 2013, 03:43 PM IST

পুজো আর মাত্র কয়েক দিন দূরে। জামা জুতোর পাট মিটিয়ে বঙ্গ ললনারা খুশিয়াল মেজাজে এখন ভীষণ ব্যস্ত সাজুগুজুর সামগ্রী সংগ্রহে। বছরের বাকি দিন গুলোতে পশ্চিমি পোশাকের রমরমা থাকলেও পুজোর সাজের মেনুতে ভারতীয় সালোয়ার কামিজ, চুড়িদার এবং চিরন্তনী শাড়ি না থাকলে ওয়ার্ডরোব এক্কেবারে পানসে। আর ভারতীয় পোষাকের সঙ্গে মানোনসই চুড়ি, দুল হার তো থাকেই তবে ছোট্ট একটা জিনিস না থাকলে সব সাজই যে বড় অসম্পূর্ণ। টিপ। ১০০ শতাংশ খাঁটি ভারতীয় সাজ। দুই ভুরুর মাঝে ছোট্ট এক কুঁচি টিপ এক মুহূর্তে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পাড়ে দৃষ্টির গভীরতা। পালটে দিতে পারে চাহনির মানে। `বিন্দিয়া`র চমকে যুগ যুগ ধরে কত পুরুষ হৃদয়ে যে তীর বিদ্ধ হয়েছে, কত ঋষি মুনির যে নিদ্রা ভঙ্গ হয়েছে, কত পুরুষালি পাষাণ মন গলে গিয়ে বানভাসি হয়েছে তার সত্যি কোন ইয়ত্তা নেই। পুজোর ঠিক আগেই তাই আমরা এবার না হয় টিপ সন্ধানী হলাম।
আট থেকে আশি, টিপের ব্যাপ্তি আক্ষরিক অর্থেই সুদূর প্রসারী। কোন ট্রেন্ড, কোন বাৎসরিক রঙমিলন্তি ফ্যাশনের ধার ধারে না টিপ সুন্দরী। সব রঙের সঙ্গেই তার জমাটি প্রেম। ফুটপাত থেকে শপিংমল, তার ক্ষুদ্র অথচ দাম্ভিক অবস্থান। পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকার ঘরে আরামে বিচরণ করে সে। টিপের জগতে চরম সাম্যবাদ। হোণ্ডা গাড়ি মালকিন হোন বা এক কামরার ছোট্ট ঘরের রাজকুমারী, টিপের ছোঁয়ায় সবাই কিন্তু সমান সুন্দর। ভীষণ রকম আয়ত্তের মধ্যে দাম। গোল, লম্বা, চৌকো, তেকোনা, আঁকাবাঁকা হরেক রকমের আকৃতি। লাল, কালো, সবুজ, হলুদ, নীলের মত একরঙা টিপের পাতার পাশেই বহু রঙের মিশেলের টিপের সহাবস্থান এখন দোকান জুড়ে। বেশ কিছু বছর ধরে স্টোন টিপের বাজার জমজমাট। ছোট থেকে বড়, চকচকে পাথরের ছোঁয়ায় বদলে যেতে পারে একটা গোটা সন্ধের মানে। তবে হাতে আঁকা টিপও কিন্তু অনন্য করে তুলতে পারে রূপটানকে। একটু আইডিয়া আর আঁকার অল্প হাত থাকলে কুমকুম চর্চিত প্রাচীন ভারতের ট্রাডিশনকে কপালে ঠাঁই দেওয়াই যায় অনায়াসে।

বিন্দি বা টিপ ভীষণ ভাবে ভারতীয় সাজ। কিন্তু বিশ্বায়নের যুগে সেই বা কেন কাঁটা তারে আঁটকে থাকবে? বলিউডের করিনা, বিপাশা, রানির কপালের পাশে হলিউডি মাইলি সাইরাসের ললাটেও সে দিব্বি সুন্দর। ভারতীয় সাজ পোষাকের চাহিদার সঙ্গেই তাই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিন্দির ডিমান্ড।
তবে পুজোর দিন কটা আমাদের কাছে বড্ড স্পেশাল। সবাই চান সুন্দরীতমা হয়ে উঠতে। তাই সব সাজ পোষাকের মতই টিপ নির্বাচনে একটু সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। টিপ পরতে হেব্বি ভাললাগে বলে জিনস টপের সঙ্গে বিন্দি পরে বেরিয়ে না পরাটাই বাঞ্ছনীয়। `এক্সপেরিমেন্ট অলঅয়েস ওয়েলকাম`। কিন্তু তাই বলে ফ্লপ হবে জেনেও বেয়ারা গবেষণায় মগ্ন না হওয়াই ভালো। পাশ্চাত্য পোষাকের সঙ্গে টিপ ব্যাপারটা এক্কেবারে যায় না। এই সহজ সমীকরণটা মাথায় রাখলেই টিপ সমস্যার অনেকটাই সমধান হয়ে যায়। তবে তার সঙ্গেই নিজের কমপ্লেক্সন আর মুখের আকৃতির সম্বন্ধে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকাও দরকার। আর কোন পোষাক বা কোন শাড়ির সঙ্গে ঠিক কী ধরণের বিন্দির সহাবস্থান হতে পারে সেটা একবার বুঝে গেলেই কিন্তু টিপের জাদুতে পুজোর দিন রূপ ম্যাজিকাল হয়ে উঠবেই।

.