পঞ্চাশের বন্ড

এখনও তাঁর জেল্লায় ভাঁটা পড়েনি এতটুকুও। এখনও একইরকম ক্ষুরধার, ক্ষিপ্র, অনুসন্ধানী আক্রমণাত্মক। আর এসবের জন্যই তো যে কোনও লাস্যময়ীর পদস্খলন ঘটিয়ে দিতে পারে যে কোনও সময়, অবলীলায়। তিনি তো সবে পঞ্চাশ। শুক্রবার ৫০-এ পা দিলেন হৃদয়ে হিল্লোল-তুলে দেওয়া জেমস বন্ড।

Updated By: Oct 6, 2012, 12:17 PM IST

পাঁচ-পাঁচটি দশক কেটে গিয়েছে। পর্দায় মুখ বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে কাহিনীর ধরনও। তবুও জেমস বন্ডের আকর্ষণ কি এতটুকুও কমেছে? পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বারে বারে নতুন রূপে দর্শকদের সামনে হাজির এজেন্ট জিরো জিরো সেভেন। বন্ড সিরিজের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে ছবি নির্মাণের নানান নেপথ্যকাহিনী নিয়ে এবার মুক্তি পেল তথ্যচিত্র এভ্রেথিং অর নাথিং: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ ০০৭। মাই নেম ইজ বন্ড, জেমস বন্ড। এটুকুই যথেষ্ট। পর্দায় উপস্থিত এজেন্ট ০০৭। যেকোনও প্রতিকুল পরিস্থিতিতে হার ম্যাজেস্টির প্রশাসনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হাতিয়ার। ঠাণ্ডা লড়াইয়ের যুগ থেকে হালআমলের প্রেক্ষাপট। রুপোলী পর্দায় পাঁচটি দশক পেরিয়ে এসেছেন এই ব্রিটিশ এজেন্ট। আবেদন যে এতটুকু কমেনি, তা আগামী ছবির মুক্তি ঘিরে উত্‍সাহই বলে দিচ্ছে। চলচিত্রে পাঁচ দশক ধরে বন্ড সিরিজের এই যাত্রাকেই এবার তথ্যচিত্রে তুলে ধরেছেন পরিচালক স্টিভেন রাইলি।
থ্রিলারের পাতা থেকে রুপোলী পর্দায় সফল উত্তরণ এবং তার নেপথ্যে নানান ওঠা পড়া। এভ্রেথিং অর নাথিং: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ ০০৭ তথ্যচিত্রে বন্ড সিরিজের নেপথ্যের না বলা কথাই তুলে ধরতে চেয়েছেন পরিচালক। তার কেন্দ্রে রয়েছে প্রযোজক জুটি অ্যালবার্ট ব্রকোলি ও হ্যারি স্যালজত্‍ম্যানের মধ্যাকার টানাপোড়েনের কথাও, যাদের উদ্যোগেই প্রথম রুপোলী পর্দায় আত্মপ্রকাশ হয়েছিল জেমস বন্ডের। 
শন কনরি থেকে ড্যানিয়েল ক্রেগ। একাধিক নায়ককে দেখা গেছে বন্ডের চরিত্রে। বহু অভিনেতাকে প্রতিষ্ঠাও দিয়েছে এই সিরিজ। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলও হয়েছে। ছয়ের দশকের বন্ডের সঙ্গে হালফিলের এজেন্ট ০০৭-এর বিস্তর ফারাক। আর বদলে যাওয়া সময়ের সঙ্গে নিজের আকর্ষণ সমানভাবে ধরে রাখার কারণেই হয়তো আজও জেমস বন্ডের অপেক্ষায় প্রহর গোনেন দর্শক।

.