নরেন্দ্র মোদীর বিদায়ে আবেগে ভাসল গুজরাত মন্ত্রিসভা

নরেন্দ্র মোদীর বিদায়ী অধিবেশনে বিরোধী পক্ষ বলে কিছুই থাকল না গুজরাত বিধানসভায়। রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে প্রশংসা আর স্তুতিতে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায় জানালেন সব বিধায়ক। অমিত শাহ, আনন্দী বেন প্যাটেলের সঙ্গেই ভাবী প্রধানমন্ত্রীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন কংগ্রেস নেতা শঙ্করশিন বাঘেলাও।

Updated By: May 21, 2014, 10:02 PM IST

নরেন্দ্র মোদীর বিদায়ী অধিবেশনে বিরোধী পক্ষ বলে কিছুই থাকল না গুজরাত বিধানসভায়। রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে প্রশংসা আর স্তুতিতে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায় জানালেন সব বিধায়ক। অমিত শাহ, আনন্দী বেন প্যাটেলের সঙ্গেই ভাবী প্রধানমন্ত্রীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন কংগ্রেস নেতা শঙ্করশিন বাঘেলাও।

এতদিন তাঁর পরিচিতি ছিল গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। এখন তিনিই বসবেন দিল্লির তখতে। বুধবার দীর্ঘ বারো বছরের মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায় জানালেন গুজরাতের বিধায়করা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন দেশের প্রধান মন্ত্রী হতে। শুরু থেকেই তাই বিদায়ের সুরে মিশে ছিল বাড়তি আবেগ। একে একে বলতে ওঠেন বিধায়কেরা। সকলেরই মুখে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মোদীর প্রশংসা আর প্রশস্তি। গুজরাতের রাজনীতিতে কট্টর মোদী বিরোধী হিসেবেই পরিচিত শঙ্করশিন বাঘেলা। বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে মোদীর উচ্ছসিত প্রশংসায় সরব হন সেই বাঘেলাও। এমনকী রাজনীতির সীমারেখা মুছে দিয়ে বিজেপির অ্যাজেন্ডায় থাকা রামমন্দির এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকেও সমর্থন জানান ওই কংগ্রেস নেতা।

দলমত নির্বিশেষে এই সমর্থন পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন নরেন্দ্র মোদীও। বলেন, রাজ্যের স্বার্থে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে সরকার পক্ষ এবং বিরোধীদের এক হওয়াটাই আদতে গুজরাত মডেল। শঙ্করশিন বাঘেলার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা বলতে গিয়েও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মোদী। ১২ বছরের মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায় দিচ্ছে গুজরাত বিধানসভা ।আহমেদাবাদের বাড়িতে তখন টিভির পর্দা থেকে চোখ সরেনি নরেন্দ্র মোদীর মা হীরা বেনের। বিধানসভা থেকে ছেলের বিদায়ের আবেগ যেন তাঁকেও ছুঁয়ে যাচ্ছিল।

.