এনসিটিসি-র বিরোধিতায় অনড় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কেন্দ্রের আশ্বাস সত্ত্বেও প্রস্তাবিত জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র (এনসিটিসি) গঠনের প্রস্তাবের বিরোধিতাতেই অনড় রইলেন অকংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রীরা। শনিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে এনসিটিসির পক্ষে সওয়াল করে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জানান, সন্ত্রাসবাদী তত্‍পরতার মোকাবিলায় জাতীয় স্তরে একটি শক্তিশালী সংস্থা গঠন জরুরী।

Updated By: May 5, 2012, 12:10 PM IST

কেন্দ্রের আশ্বাস সত্ত্বেও প্রস্তাবিত জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র (এনসিটিসি) গঠনের প্রস্তাবের বিরোধিতাতেই অনড় রইলেন অকংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রীরা। শনিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে এনসিটিসির পক্ষে সওয়াল করে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জানান, সন্ত্রাসবাদী তত্‍পরতার মোকাবিলায় জাতীয় স্তরে একটি শক্তিশালী সংস্থা গঠন জরুরী। এনসিটিসি গঠনের বিষয়টি আদৌ `কেন্দ্র বনাম রাজ্য` ইস্যু নয়। একই সুরে এনসিটিসি-র পক্ষে সওয়াল করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমও। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও, এনসিটিসি-র প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করে তা প্রত্যাহারের দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, রাজ্যগুলির সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই এনসিটিসি গঠনের ব্যাপারে এগিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্রের আওতায় গ্রেফতার করার যে অধিকার রাখা হয়েছে, তা সরাসরি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধিকারে হস্তক্ষেপ।''

শুধু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীই নন। কেন্দ্রীয় আশ্বাসের উপর ভরসা করলেন না তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক-সহ অকংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রীরা। এনসিটিসি-র খসড়ায় সংশোধনের দাবি করেন মানিক সরকার। যদিও বৈঠক শুরু আগে, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংয়ের জানান, মাওবাদীদের হাতে অপহরণের ঘটনা যেভাবে বাড়ছে, তার মোকাবিলায় জাতীয় নীতি প্রয়োজন। বৈঠকে এই প্রস্তাব দিতে পারেন তিনি।
যদিও এই বিষয়ে এখনই হাল ছাড়তে রাজি নন চিদম্বরম। এদিন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গোয়েন্দা এবং তদন্তকারী সংস্থা ছাড়াও সন্ত্রাস দমনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আরও একটি সংস্থার প্রয়োজন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, এনসিটিসির কার্যকরিতা এবং ক্ষমতা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। আলোচনার জন্য দরজা খোলা রয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাস দমনে কোনও ভাবেই তৃতীয় সংস্থার গড়ার প্রস্তাব উপেক্ষা করা যাবে না।
সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় আশ্বাসে অকংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রীরা সন্তুষ্ট না হওয়ায় এনসিটিসি নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে নতুন করে টানাপোড়েন তৈরি হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

.