ভারত মহাসাগরে ভাসমান দু’টি বস্তু মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানের নিশ্চিত অসি প্রধানমন্ত্রী

মালয়েশিয়ার নিখোঁজ এমএইচ ৩৭০- (MH370) বিমানের সন্ধান মিলেছে। এমন দাবি বেশ জোরের সঙ্গে করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট। অসি প্রধানমন্ত্রী বললেন, দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে যে দু’টি বস্তুকে ভাসতে দেখা গিয়েছে সেটা যে এমএইচ ৩৭০- (MH370)-এর সে বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার টনি অ্যাবট জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে ২৪ মিটারের দুটি বস্তুকে ভাসতে দেখা যাচ্ছে।

Updated By: Mar 23, 2014, 10:58 AM IST

------------------------------------------------------
মালয়েশিয়ার নিখোঁজ এমএইচ ৩৭০- (MH370) বিমানের সন্ধান মিলেছে। এমন দাবি বেশ জোরের সঙ্গে করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট। অসি প্রধানমন্ত্রী বললেন, দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে যে দু’টি বস্তুকে ভাসতে দেখা গিয়েছে সেটা যে এমএইচ ৩৭০- (MH370)-এর সে বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার টনি অ্যাবট জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে ২৪ মিটারের দুটি বস্তুকে ভাসতে দেখা যাচ্ছে।

মনে হচ্ছে ভাসমান ওই বস্তু আসলে মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ। অসি উপকূলের এক নিরাপত্তাকর্মীও জানিয়ে ছিলেন, পার্থ থেকে প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে খোঁজ পাওয়া বস্তুগুলি খুবই অস্পষ্ট। এরপরই এই বিমান তল্লাশি দলের বেশ কয়েকটি বিমান ও জাহাজ অসি উপকুলে যায়। কিন্তু শনিবার সকালে জানানো হয় সেখানে কোনও কিছুরই খোঁজ মেলেনি। তবে আজ অসি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর বিশ্ব এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় রহস্যের পর্দা ওঠার ইঙ্গিত মিলছে।

এদিকে, গতকাল মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমান MH370 আনুমানিক ধ্বংসাবশেষের উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করে চিন। মালয়েশিয়ার পরিবহণ মন্ত্রী হিশাম্মুদ্দিন হুসেন শনিবার এই খবর জানান।

কুয়ালালামপুরে সাংবাদিকদের হিশাম্মুদ্দিন জানিয়েছেন চিনা রাষ্ট্রদূতের কাছে কিছু উপগ্রহ চিত্র এসেছে। এই ছবি গুলিতে দেখা যাচ্ছে চিন সাগরের দক্ষিণ করিডরে কিছু বস্তু ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। চিনা সরকার জানিয়েছে এই ভাসমান বস্তুগুলির উদ্দেশ্যে দ্রুত জাহাজ পাঠানো হবে।

কতগুলো ভাসমান বস্তুকে দেখতে পাওয়া গেছে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মালয়েশিয়ার পরিবহণ মন্ত্রী জানিয়েছেন একটি বস্তু লম্বায় ৭২ ফুট ও চওড়ায় ৯৮ ফুট।

১৪ দিন আগে স্থানীয় সময় রাত পৌনে একটা নাগাদ কুয়ালালামপুর থেকে বেজিংয়ে রওনা দেয় বিমানটি৷ বিমানে ৫ ভারতীয় সহ ২৩৯ জন যাত্রী ছিলেন৷ রাত পৌনে তিনটে নাগাদ সুবাং এয়ার ট্রাফির কন্ট্রোলের সঙ্গে বিমাটির যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়৷ তারপর থেকেই বাড়তে থাকে রহস্য৷ শুরু হয় তল্লাসি৷ তল্লাসির সময় দক্ষিণ উপকূলে ভাসমান তেল ও ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া গেছে বলে দাবি করে ভিয়েতনামের একটি অনুসন্ধান দল৷ কিন্তু পরীক্ষার পর জানা যায়, ওই তেল বা ধ্বংসাবশেষ নিখোঁজ বিমানের নয়৷

.