"মুঝপে এক এহসান করনা...কি মুঝপে কোই এহসান মত করনা"

কাশ্মীরে বজরঙ্গি ভাইজান ছবির শুটিং মাঝপথেই ফেলেই গতকাল রাতে মুম্বই ফিরে আসতে হয় তাকে। পরদিন রায় ঘোষণা। গত ১৩ বছর ধরে এই মামলা শান্তিতে ঘুমোতে দেয়নি তাকে। সলমন বাড়ি ফিরতেই তার সঙ্গেই দফায় দফায় দেখা করতে আসেন বলিউডের তারকার। স্বামীর সঙ্গে এসে দাদার কাছে কিছুটা সময় কাটিয়ে যান আদরের বোন অর্পিতা খানও।

Updated By: May 6, 2015, 02:54 PM IST
"মুঝপে এক এহসান করনা...কি মুঝপে কোই এহসান মত করনা"

ওয়েব ডেস্ক: কাশ্মীরে বজরঙ্গি ভাইজান ছবির শুটিং মাঝপথেই ফেলেই গতকাল রাতে মুম্বই ফিরে আসতে হয় তাকে। পরদিন রায় ঘোষণা। গত ১৩ বছর ধরে এই মামলা শান্তিতে ঘুমোতে দেয়নি তাকে। সলমন বাড়ি ফিরতেই তার সঙ্গেই দফায় দফায় দেখা করতে আসেন বলিউডের তারকার। স্বামীর সঙ্গে এসে দাদার কাছে কিছুটা সময় কাটিয়ে যান আদরের বোন অর্পিতা খানও।

রাতে সলমন ঘুমোতে পেরেছিলেন কিনা জানি নেই, তবে সকাল থেকেই গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে জমে ওঠা ভিড় দেখে বেশ কিছুটা স্বস্তিতেই ছিলেন তিনি। মিডিয়া ও ভক্তদের ভিড় ঠেলে একে একে তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষীরা। বোন অলভিরা খান, বন্ধু বাবা সিদ্দিকি, প্রাক্তন প্রেমিকা সঙ্গীতা বিজলানিরা এসে দেখা করে যান তার সঙ্গে। অবশেষে বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ পরিবারের সঙ্গে আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন সলমন। পরণে দুধসাদা ফুলশার্ট, জিন্স, চোখে সানগ্লাস। বেশ হালকা মেজাজেই বাবা সেলিম খান, দুই ভাই আরবাজ ও সোহেল খানের সঙ্গে রওনা দেন সলমন।

আদালত চত্বরেও রায়দানের আগে পর্যন্ত সলমনোচিত স্বাভাবিক ভঙ্গিমাতেই দেখা যায় তাকে। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত হতেই মিলিয়ে যায় মুখের হাসি। চিন্তার ছায়া নেমে আসে মুখে। কেঁদে ফেলেন তিনি। বাইরে ততক্ষণে ভক্তদের কানেও পৌঁছে গিয়েছে 'ভাই'-এর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার খবর। চলছে সাজা কমানোর প্রার্থনা। এদিকে, আদালতে জানানো হয় সাজা ঘোষণা হলে আজই তাকে নিয়ে যাওয়া হবে আর্থার রোড জেলে।

অবশেষে এল সেই সময়। শান্তভাবে মাথা নিচু করে সাজা শোনেন সলমন। যদিও, সলমনের আইনজীবী জানান, দায়রা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুম্বই হাইকোর্টে যাবেন তারা। সাজা শোনার সময় শান্ত থাকলেও জেলে যাওয়ার পথে কেঁদে ফেলেন সলমন। বসে পড়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি।

বাঁচার যে পথ নেই তা বোধহয় শেষের দিকে বুঝতে পেরেছিলেন সলমন। ড্রাইভারকে দিয়ে বয়ান দিইয়ে চেষ্টা করেছিলেন বাঁচার। কিন্তু পারলেন না। আর এখানেই বোধহয় সিনেমার স্ক্রিপ্টের থেকে আলাদা হয়ে গেল বাস্তব। দাবাঙ্গের চুলবুল পাণ্ডে এক ঝটকায় নেমে এলেন বাস্তবের মাটিতে। সাজা কমানোর আর্জি জানিয়ে একবার বিচারকের 'এহসান' চেয়েছিলেন সলমন। শোনা হয়নি। তাই জেলের পথে কান্নায় ভেঙে পড়ে যেন অস্ফুটেই বলে গেলেন..."মুঝপে এক এহসান করনা, কি মুঝপে কোই এহসান মত করনা।" 

.