ফের কলেজে শিক্ষক নিগ্রহ, ফের অভিযুক্ত তৃণমূল

ফের কলেজে শিক্ষক নিগ্রহ। এবার হামলা চলল শ্যামবাজারের জে বি রায় রাজ্য আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কলেজের পঞ্চকর্ম বিভাগের প্রধান কেদার সাউকে  মারধর করা হয়।  ভাঙচুর  হয় বিভাগীয় প্রধানের গাড়িও। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যদের দিকে। টিএমসিপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

Updated By: Feb 25, 2013, 07:54 PM IST

ফের কলেজে শিক্ষক নিগ্রহ। এবার হামলা চলল শ্যামবাজারের জে বি রায় রাজ্য আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কলেজের পঞ্চকর্ম বিভাগের প্রধান কেদার সাউকে  মারধর করা হয়।  ভাঙচুর  হয় বিভাগীয় প্রধানের গাড়িও। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যদের দিকে। টিএমসিপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 
শ্যামবাজারের রাজা দিনেন্দ্র স্ট্রিটের আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের ফাইনাল পরীক্ষায় এবার পরীক্ষার্থী পঞ্চাশ জন। অকৃতকার্য হয়েছেন একজন ছাত্র। বেশ কয়েকজন কম নম্বর পেয়েছেন। সোমবার কলেজ খুলতেই বেশ কয়েকজন  চড়াও হয় পঞ্চকর্ম বিভাগের প্রধান কেদার সাউয়ের ওপর।
 
ঘটনার পরই ইস্তফা দিতে চেয়েছেন আক্রান্ত শিক্ষক। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অবশ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাতে বিভাগীয় প্রধানের নিগৃহের ঘটনা এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। 
সোমবারও সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ এই কলেজের পঞ্চকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কেদারনাথ সাউ কলেজে আসেন৷ অভিযোগ, এর পরই কলেজের দশ-পনেরো জন টিএমসিপি সমর্থক ছাত্র ওই শিক্ষকের ঘরে ঢুকে তাঁকে ঘেরাও করেন৷ কেদারবাবু এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় শুরু হয় অকথ্য গালিগালাজ এবং মারধর৷ কেদারবাবুর কথায়, চূড়ান্ত বর্ষের সব ছাত্রদের কেন ৯০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হয়নি, সেটাই ওদের রাগ৷ আজ মারধর করল, গাড়ি ভাঙচুর করল৷ কাল অন্য কিছু করতে পারে৷ আমি গ্রামের ছেলে৷ চাকরি ছেড়ে দিয়ে গ্রামে চলে যাব৷ যেখানে এরকম নৈরাজ্য, সেখানে থাকার কোনও মানেই হয় না৷

.