মুর্সি বিরোধী আগুন ছড়াচ্ছে মিশরে, সংঘর্ষে মৃত ৩০

প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুর্সির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল মিশর। এরই মধ্যে, ফুটবল দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত ২১ জনের প্রাণদণ্ডের আদেশকে কেন্দ্র করে গতকাল রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সৈয়দ বন্দর। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বন্দর শহরে কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত প্রায় ৩০০। রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কোয়ারেও অব্যাহত পুলিসের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ।

Updated By: Jan 27, 2013, 10:56 AM IST

প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুর্সির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল মিশর। এরই মধ্যে, ফুটবল দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত ২১ জনের প্রাণদণ্ডের আদেশকে কেন্দ্র করে গতকাল রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সৈয়দ বন্দর। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বন্দর শহরে কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত প্রায় ৩০০। রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কোয়ারেও অব্যাহত পুলিসের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ।
গত ফেব্রুয়ারিতে কায়রোর টিম অল-আহলির সঙ্গে সৈয়দ বন্দরের স্থানীয় দল অল-মাসরির খেলা ছিল। বন্দর শহরের সেই ফুটবল ম্যাচ থেকে ছড়ায় হিংসা। গণ্ডগোলের জেরে ৭৪ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন কায়রোর দলটির সমর্থক। মিশরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে এই দলের সদস্য-সমর্থকদের বড় ভূমিকা ছিল। ডার্বি ম্যাচে হিংসার ঘটনায় শনিবার ২১ জনের প্রাণদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই বন্দর শহরের স্থানীয় দল অল-মাসরির সমর্থক। আদালতের রায় প্রকাশ্যে আসতেই সৈয়দ বন্দরে শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মুক্ত করতে জেলে ঢোকার চেষ্টা করেন অল-মাসরি ফুটবল টিমের সমর্থকরা। পুলিসকর্মীদের আক্রমণ করেন তাঁরা। দুই পুলিসকর্মী নিহত হন। নিহত হন দুই ফুটবলারও। সরকারি ভবনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সৈয়দ বন্দরের অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে কায়রোতেও। তাহরির স্কোয়ারে প্রেসিডেন্ট মুর্সির বিরোধীদের সঙ্গে নতুন করে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষ বাধে। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিক্ষোভকারীরা।
 
অভিযুক্তরা সত্যিই দোষী হলে শাস্তি ঠিকই আছে। তবে, ফুটবল মাঠে হিংসা ছড়ানোর পিছনে আসলে কারা ছিল তা খুঁজে বের করতে হবে। প্রশাসনের মদত ছিল কিনা দেখতে হবে। শুধুমাত্র প্রাণদণ্ড দিয়ে লাভ হবে না।
প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুর্সির বিরুদ্ধে স্বৈরাচার, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টার অভিযোগে শুক্রবার রাস্তায় নেমেছিলেন মিশরের সাধারণ মানুষ। তাহরির স্কোয়ারে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভ চলে দেশের ১২টি প্রদেশে। শাসকদল জাস্টিস অ্যান্ড ফ্রিডম পার্টির অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সুয়েজ ও ইসমাইলিয়ায় ন`জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় সাড়ে ৪০০ মানুষ।  

.