বলিউডের শের খান

দিল্লি এক পঞ্জাবি পরিবারে ১৯২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জন্ম অভিনেতা প্রাণের। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আকর্ষণ ছিল তাঁর। ভাগ্যক্রমেই অবিভক্ত ভারতে লাহোরে দেখা হয়ে যায় লেখক মহম্মদ ওয়ালির সঙ্গে। দলসুখ পাঞ্চোলির ইয়ামলা জাট ছবিতে ভিলেনের চরিত্রে তিনিই প্রথম সুযোগ করে দেন অভিনয়ের। স্বাধীনতার আগে ৪ বছরে মোট ১৮টি ছবি মুক্তি পায় প্রাণের। কিন্তু দেশভাগের সময় নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে আসতে হয় তাঁকে।

Updated By: Jul 12, 2013, 11:37 PM IST

দিল্লি এক পঞ্জাবি পরিবারে ১৯২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জন্ম অভিনেতা প্রাণের। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আকর্ষণ ছিল তাঁর। ভাগ্যক্রমেই অবিভক্ত ভারতে লাহোরে দেখা হয়ে যায় লেখক মহম্মদ ওয়ালির সঙ্গে। দলসুখ পাঞ্চোলির ইয়ামলা জাট ছবিতে ভিলেনের চরিত্রে তিনিই প্রথম সুযোগ করে দেন অভিনয়ের। স্বাধীনতার আগে ৪ বছরে মোট ১৮টি ছবি মুক্তি পায় প্রাণের। কিন্তু দেশভাগের সময় নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে আসতে হয় তাঁকে।
এরপরই বলিউড ছবিতে যাত্রা শুরু প্রাণের। আজাদ, মধুমতী, দেবদাস, আদমি, জিদ্দি, জিস দেশ মে গঙ্গা বেহতি হ্যায় ও আহ ছবিতে নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করে বলিউডে নিজেক জায়গা তৈরি করেন প্রাণ। পঞ্চাশের দশকে হলাকু ও সিন্দবাদ দ্য সেলর ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন প্রাণ। হাফ টিকিট ও বেওয়াকুফ ছবিতে কৌতূক চরিত্রে অভিনয় করে নিজের ভার্সাটাইলিটির পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি।
এরপরই নিজের ভাবমূর্তি বদলাতে ষাটের দশকের শেষের দিকে পজিটিভ চরিত্রে অভিনয় শুরর করেছিলেন ভারতীয় ছবির ব্যাড ম্যান। সত্তরের দশকে তিনিই ছিলেন বলিউডের সবথেকে দামি অভিনেতা। অমিতাভ বচ্চন, বিনোদ খন্না কেউই প্রাণের পারিশ্রমিকের কাছাকাছি পৌঁছতে পারেননি। জঞ্জীর ছবিতে পাঠান শের খানের চরিত্র তাঁকে কালজয়ী করে রেখেছে। সাড়ে তিনশোরও বেশি ছবিতে অভিনয় করে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন ভিলেন অফ দ্য মিলেনিয়াম। তবে ব্যক্তিগত জীবনে কোনওদিনই কোনও বিতর্ক ছুঁতে পারেনি তাঁকে।
উপকার, আঁসু বন গয়ে ফুল ও বে ইমান ছবির জন্য সেরা সহ অভিনেতার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জেতেন প্রাণ। ১৯৯৭ সালে পান ফিল্মফেয়ার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। ২০০০ সালে জি সিনে অ্যাওয়ার্ডস ও স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসও তাঁকে ভূষিত করে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে। ২০০১ সালে পান পদ্মভূষণ। ২০১৩ সালে মৃত্যুর কিছুদিন আগে দাদাসাহেব ফালকে।
তবে এই সবকিছুকে ছাপিয়ে তাঁর জীবনে সবথেকে বড় পুরস্কার ছিল দর্শকদের ভালবাসা। সহকর্মীদের শ্রদ্ধা। প্রাণ চলে গেলেন, তবে সকলের ভালবাসায়, স্মৃতিতে থেকে যাবেন ভিলেন অফ দ্য মিলেনিয়াম-শের খান।

.