সর্বনাশা সারদা আর সরকারের সমালোচনায় রাজনৈতিক মহল

তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে সারদা গোষ্ঠীর এজেন্টদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুকুল রায়ের বৈঠক ভেস্তে গেল। বৈঠক অসমাপ্ত রেখেই বেরিয়ে গেলেন মুকুল রায়। বেলার দিকে তৃণমূল ভবনের সামনে জড়ো হন এজেন্টরা। গতকালই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা।  আজ তিনজন এজেন্টকে ডেকে নিয়ে বৈঠকে বসেন মুকুল রায়। কিন্তু বৈঠক অসমাপ্তই থেকে যায়। এর আগে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন এজেন্টরা।

Updated By: Apr 20, 2013, 05:30 PM IST

তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে সারদা গোষ্ঠীর এজেন্টদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুকুল রায়ের বৈঠক ভেস্তে গেল। বৈঠক অসমাপ্ত রেখেই বেরিয়ে গেলেন মুকুল রায়। বেলার দিকে তৃণমূল ভবনের সামনে জড়ো হন এজেন্টরা। গতকালই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা।  আজ তিনজন এজেন্টকে ডেকে নিয়ে বৈঠকে বসেন মুকুল রায়। কিন্তু বৈঠক অসমাপ্তই থেকে যায়। এর আগে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন এজেন্টরা।
কোটি টাকা খরচ করে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কেনেন সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। এছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসকে নানা ভাবে সাহায্য করত সারদা। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অধীর চৌধুরী। শুধু সারদাই নয়, অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস এমন অনেক চিটফান্ডের গোষ্ঠীর থেকেই ডোনেশন নিয়েছে। বেকারিত্ব দূর করার নাম করে রাজ্যের গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে এই চিটফান্ডগুলি। এর পিছনে মদত ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। এমনই অভিযোগ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের। আগে ব্যবস্থা না নিয়ে এখন প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে চাইলে, তেমন কোনও লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই সরকারের পিঠ বাঁচাতে সামনে চলে এসেছেন রাজ্যের প্রথম সারির নেতা মন্ত্রীরা। "সরকার কাউকে সারদা গোষ্ঠীতে টাকা লগ্নি করতে বলেনি।" এই সরকারের আমলে বেআইনি চিট ফান্ড তৈরি হয়নি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে সরকার অইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। বললেন, মন্ত্রী মদন মিত্র। এদিন তৃণমূল ভবনে সারদার এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক অসমাপ্ত রেখে বেরিয়ে আসেন মুকুল রায়। বাইরে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে ধৈর্য্য হারান তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনের বাইরে কেন তাঁকে প্রশ্ন করা হবে সেই প্রশ্ন তুলে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এর পর থেকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 
সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র অনেক আগেই ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের কোনও কোনও মহলে এবং কোনও কোনও ব্যক্তির সঙ্গে ওই বেআইনি চিটফান্ড গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কারণে সারদার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনই অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের। বেআইনি চিটফান্ড সংস্থাকে বৈধতা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অভিযোগ সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিমের। সারদা গোষ্ঠীর যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা ছিল, সেই সম্পত্তির কী অবস্থা, তার তদন্ত দাবি করেছেন তিনি।    
তৃণমূল ভবনের সামনে অবশ্য বিক্ষোভ দেখাতে পারেননি সারদা গোষ্ঠীর এজেন্টরা। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিস। এরপরেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুকুল রায় তিনজন এজেন্টকে ডেকে পাঠিয়ে বৈঠকে বসেন। কিন্তু ভেস্তে যায় বৈঠক। বৈঠক ছেড়ে মাঝপথেই বেরিয়ে যান মুকুল রায়। এরপরেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ধৈর্য হারান মুকুল রায়।

.