মহানায়িকার স্মৃতিতে হবে সুচিত্রা সেন সরণি, বালিগঞ্জ ফাঁড়ির নাম হবে সুচিত্রা সেন স্কোয়ার

সকাল ৯টা ৩৫- হাসপাতালে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Updated By: Jan 17, 2014, 08:00 PM IST

সন্ধে ৮টা: যে অংশে সুচিত্রা সেনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে, সেখানে স্মৃতিফলক গড়ে তুলবে রাজ্য সরকার। মহানায়িকার স্মৃতিতে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের একাংশের নাম রাখা হবে সুচিত্রা সেন সরণি। বালিগঞ্জ ফাঁড়ির নাম হবে সুচিত্রা সেন স্কোয়ার। ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মহানায়িকার শেষ মুহূর্ত:

২৪ ঘণ্টার হাতে মহানায়িকার শেষ কয়েকটি মুহূর্তের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ। বৃহস্পতিবার রাত দশটা থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে সুচিত্রা সেনের। বহু কষ্টে নেবুলাইজেশনের জন্য তাঁকে রাজি করানো হয়। রাতে দফায় দফায় বাড়ানো হয় ভেন্টিলেশন। রাইমা-রিয়া রাজি থাকলেও মায়ের কষ্ট দেখে দেহে আরও নল ঢোকাতে রাজি হচ্ছিলেন না সুচিত্রা-কন্যা মুনমুন। শুক্রবার সকাল পৌনে আটটা পর্যন্ত জ্ঞান ছিল মহানায়িকার। নল ঢোকাতে গেলে বারবার হাত দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। এরপরই শুরু হয় প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট। সকাল থেকেই ওঠানামা করতে থাকে রক্তচাপ। রক্তচাপ স্থিতিশীল করতে বুকে পাম্প শুরু করেন চিকিত্সকেরা। কিন্তু সকাল আটটার পর মহানায়িকার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটে। সেই সময় ঘরে ছিলেন দুই জুনিয়র ডাক্তার। হাসপাতালে থাকলেও সে সময় কেবিনে ছিলেন না মুনমুন সেন। ওই ডাক্তাররা ফোন করে মুনমুন সেনকে। এরপরই কেবিনে ছুটে এসে তিনি মৃত্যুসংবাদ পান। কান্নায় ভেঙে পড়েন সুচিত্রা কন্যা।

বেলা ৩টে: এখনও পর্যন্ত: চির অন্তরালে গেলেন মহানায়িকা। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে চলছে তাঁর শেষকৃত্য। CR দাস পার্কে চন্দনের চিতায় দাহ করা হল তাঁকে। মুখাগ্নি করেন তাঁর মেয়ে মুনমুন সেন। তার আগে গান স্যালুটে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। তেইশে ডিসেম্বর শ্বাসকষ্ট এবং বুকে সংক্রমণ নিয়ে বেলভিউতে ভর্তি হয়েছিলেন মহানায়িকা। তারপর টানা ছাব্বিশ দিন তাঁকে বাঁচানোর লড়াই চালিয়ে গেছেন চিকিত্সকরা। আজ সকাল আটটা পঁচিশে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে শেষ হয়েছে সব লড়াই। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ সুচিত্রা সেনকে নিয়ে বেলভিউ ক্লিনিক থেকে বের হয় শববাহী শকট। মহানায়িকাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাড়িতে। সেখান থেকে গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন ঘুরে দেহ পৌছয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে।

১টা ৪৬: নিভল অগ্নিশিখা, মায়ের মুখাগ্নি করেলেন মেয়ে মুনমুন সেন।

১টা ২৫: কেওড়াতলায় শায়িত রয়েছে মহানানিয়ার দেহ

১টা ২২: গান স্যালুট দেওয়া হচ্ছে মহানায়িকাকে।

১টা ১৫: তাঁর ব্যক্তত্বের জুড়ি মেলা ভার। ওনার জন্য অনেক গান গেয়েছি। মাঝে মাঝে স্টুডিওতে দেখা হয়েছে। যখনই কথা বলতেন খুব ভদ্র ভাবে।

১টা: বাড়ি থেকে রওনা দিল মহানয়িকার শেষযাত্রা। যাবে গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনে।

১২টা ৫২: রাজ্যপালের তরফে শেষ শ্রদ্ধা।

১২টা ৫০: দেহ পৌঁছল বালিগঞ্জের বাড়িতে। রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাড়ির দরজা। সাধারণ মানুষ অপেক্ষায়।

১২টা ৪৩: রওনা দিল মহানায়িকার শেষ যাত্রা। কালো কাঁচের গাড়িতে মাহানায়িকার দ্দেহ

১২টা: কফিন বন্দী মহানায়িকার দেহ।

১১টা ৩৫- মৃতদেহ বালিগঞ্জের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে।

১১টা ৩৫- চন্দন কাঠের চিতায় দাহ করা হবে সুচিত্রা সেনকে

১১টা ৩২- রবীন্দ্রসদনে মহানায়িকার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ

১০টা ৩৫- 'আমাদের প্রিয়জনকে হারালাম'- মুখ্যমন্ত্রী

১০টা ৩৫- 'আত্মার শান্তি কামনা করি।' -মুখ্যমন্ত্রী

১০টা ৩০- 'রাজ্যসরকার গান স্যালুট দেবে।'

১০টা ৩০- 'শেষকৃত্য ব্যাপারে পরিবারই সিদ্ধান্ত নেবে।'- মুখ্যমন্ত্রী

১০টা ৩০- 'স্বেচ্ছা নির্বাসনে গিয়েছিলেন, আমরা সেটার সম্মান করব।'- মুখ্যমন্ত্রী'

১০টা ৩০- ক্যাওড়াতলা মহা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন- ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

সকাল ১০টা ১৫- 'বড় মহীরূহের পতন'- মুখ্যমন্ত্রী

সকাল ১০টা ১৫- মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সকাল ৯টা ৩৫- হাসপাতালে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

৯টা- মিডিয়ার নজর এড়িয়ে মৃতদেহ বাড় করার পরিকল্পনা।

৮টা ৩৫- মৃত্যু ঘোষণা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ডাক্তারমহল। এখনই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চায় না পরিবার। কিছু ডাক্তার এই প্রস্তাবে নারাজ।

সকাল ৮টা ২৫- হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু। ফের সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। রক্তে কমে গিয়েছে অক্সিজেনের মাত্রা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মহানায়িকাকে ফের নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

.