রাস্তায়, অফিসে বা বাড়িতে হার্ট-অ্যাটাক হলে কী করবেন!

রাস্তায়, অফিসে অথবা বাড়িতেই হঠাত্ হার্ট অ্যাটাক! হাসপাতালে নেওয়ার আগেই, একটু একটু করে নির্জীব হয়ে পড়ছেন আপনার সামনের মানুষটি। কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না ? ভয় পাবেন না। সামান্য কয়েকটি বিষয় জানা থাকলে আপনিই বাঁচাতে পারেন জীবন।

Updated By: Oct 20, 2016, 09:54 PM IST
 রাস্তায়, অফিসে বা বাড়িতে হার্ট-অ্যাটাক হলে কী করবেন!

ওয়েব ডেস্ক : রাস্তায়, অফিসে অথবা বাড়িতেই হঠাত্ হার্ট অ্যাটাক! হাসপাতালে নেওয়ার আগেই, একটু একটু করে নির্জীব হয়ে পড়ছেন আপনার সামনের মানুষটি। কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না ? ভয় পাবেন না। সামান্য কয়েকটি বিষয় জানা থাকলে আপনিই বাঁচাতে পারেন জীবন।

হঠাত্ই ঘাম দিয়ে তীব্র বুকে ব্যথা? শ্বাস কষ্ট ... আর তার পরেই কেমন অচৈতন্য হয়ে পড়ছেন আপনার সামনের মানুষটি।  এ সবই কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। কী করে বুঝবেন হার্ট অ্যাটাক? রোগীর গলায় শ্বাসনালীর পাশেই রয়েছে ক্যারোটিড পাল্স বা সেন্ট্রাল পালস। প্রথমেই কম পক্ষে পাঁচ সেকেন্ড ওই পালস দেখুন। হার্ট অ্যাটাক হলে পালস পাওয়া যাবে না।

আরও পড়ুন- কৃত্রিম ধমনী, এক যুগান্তকারী আবিষ্কার

চিকিত্সকরা বলছেন,  লাইফ টেভিং টেকনিক জানা থাকলে রোগীকে এই অবস্থা থেকে বাঁচানো সম্ভব। কী করবেন? আক্রান্তকে ঝিমিয়ে পড়তে দেওয়া চলবে না। তাঁর সঙ্গে কথা বলে যেতে হবে। ৩০-৪৫ ডিগ্রি মাথা উঁচু করে শুয়ে রাখতে হবে রোগীকে। যাতে তাঁর শ্বাস নিতে সুবিধা হয়। এর পর আপনিই শুরু করে দিতে পারেন রোগীর প্রাথমিক চিকিত্সা। কীভাবে? তাও বলে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রথমে বুকে পাম্প, মাউথ টু মাউথ রেসপিরেশন, রোগীকে শুইয়ে দিন। দুটো হাতের তালু ইন্টারলক করে ঠিকের বুকের মাঝখানে পাম্প করুন। পুরো শরীরের চাপ দিয়ে পাম্প করবেন।
১৬-১৮ সেকেন্ডের মধ্যে ৩০ বার পাম্প করুন। এর পরে মাউথ টু মাউথ রেসপিরেশন করুন। এই সময় রোগীর নাক বন্ধ রাখতে হবে। থুতনি উঁচু করে ধরে রাখতে হবে। এই ভাবে দুবার মাউথ টু মাউথ রেসপিরেশন করতে হবে। এর পর ফের বুকে পাম্প করতে হবে। পুরো সাইকেলটা কম পক্ষে ৫বার করতে হবে।

.