মাঝরাতে মার, মুচলেকা, জানালেন অধ্যাপক

তিনি সিপিআইমের সক্রিয় কর্মী। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি মুচলেকায় তাঁকে জোর করে একথা লিখতে বাধ্য করে দুষ্কৃতীরা। একই সঙ্গে, তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কাজ করেছেন বলেও লিখতে বাধ্য করা হয়।

Updated By: Apr 13, 2012, 07:25 PM IST

তিনি সিপিআইমের সক্রিয় কর্মী। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি মুচলেকায় তাঁকে জোর করে একথা লিখতে বাধ্য করে দুষ্কৃতীরা। একই সঙ্গে, তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কাজ করেছেন বলেও লিখতে বাধ্য করা হয়। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সেই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর অপছন্দের কার্টুন শেয়ারের অভিযোগে ধৃত অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তাঁর প্রতিবেশীরাও।
শুক্রবার দুপুরে পুলিস তাঁকে আদালতে পেশ করা মাত্রই ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত জামিনে মুক্তি পান অম্বিকেশ বাবু। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের ওই অধ্যাপক জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়েই ছিলেন তিনি। বিকেল ৬টা নাগাদ বেরিয়ে এক জায়গায় একটি বৈঠকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে রাত ৯টা নাগাদ আবাসনের দিকে রওনা দেন তিনি। কিছু দূরে তাঁর পথ আটকায় জনা পনেরো দুষ্কৃতী। তাঁকে আবাসনের অফিসে যেতে বাধ্য করে তাঁরা। রাস্তাতেই শুরু হয় নিগ্রহ। অফিসে নিয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যঙ্গচিত্র শেয়ার করার জন্য তাঁকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে মুচলেকা লিখতেও বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ। অম্বিকেশবাবু বলেন, "মুচলেকায় আমি সিপিআইএমের সক্রিয় সদস্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ইমেল পাঠিয়েছি বলে লিখতে বাধ্য করা হয়।"
অম্বিকেশবাবুর প্রতিবেশী এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন। বেশ কেয়কজন দুষ্কৃতী এসে জোর করে আবাসনে ঢোকে। অম্বিকেশবাবুকে যথেচ্ছ মারধর করে তারা। পুলিসে অভিযোগ করলে পালটা ফল হতে পারে ভেবে চুপ করে ছিলেন তাঁরা। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, অম্বিকেশবাবুকে চেয়ার ছুঁড়ে মারতে গিয়েছিল এক দুষ্কৃতী। এর মধ্যে এসে পৌঁছয় পুলিস। কোনও কথা না শুনে অম্বিকেশবাবুকে টেনে-হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যায় তারা।

.