কুনালের গোপন জবানবন্দির প্রয়োজনীয়তা নেই জানাল সিবিআই, মামলার ৮৪ দিনে জমা পড়ল চার্জশিট

কালীপুজোর পরেই সম্ভবত জমা পড়তে চলেছে সারদা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেল মামলার চার্জশিট। এই মামলায় সিবিআইয়ের চার্জশিট তৈরি। প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। আপাতত সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় সিবিআই। আজই এই মামলার ৮৪ দিন। অর্থাত্‍ ২৮ অক্টোবরের মধ্যে চার্জশিট জমা না পড়লে ৯০ দিন পেরিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে জামিন পেয়ে যাবেন কুনাল ঘোষ ও দেবযানী মুখার্জি।

Updated By: Oct 21, 2014, 04:08 PM IST
কুনালের গোপন জবানবন্দির প্রয়োজনীয়তা নেই জানাল সিবিআই, মামলার ৮৪ দিনে জমা পড়ল চার্জশিট
ছবি ফেসবুক থেকে

ওয়েব ডেস্ক: কালীপুজোর পরেই সম্ভবত জমা পড়তে চলেছে সারদা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেল মামলার চার্জশিট। এই মামলায় সিবিআইয়ের চার্জশিট তৈরি। প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। আপাতত সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় সিবিআই। আজই এই মামলার ৮৪ দিন। অর্থাত্‍ ২৮ অক্টোবরের মধ্যে চার্জশিট জমা না পড়লে ৯০ দিন পেরিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে জামিন পেয়ে যাবেন কুনাল ঘোষ ও দেবযানী মুখার্জি।

অন্যদিকে, সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখার্জি ও কুনাল ঘোষকে  ১৪দিনের জেল হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে সিবিআই। এই তিনজন সেবিকে অন্ধকারে রেখে সাধারণ মানুষের টাকা বেআইনিভাবে সারদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং বেঙ্গল মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থায় সরিয়েছিলেন। এই তিনজন জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেই আদালতে জানিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

কুনাল ঘোষের গোপণ জবানবন্দির আর্জি নাকচ করল নগর দায়রা আদালত। ২৯ সেপ্টেম্বর গোপণ জবানবন্দি দিতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন কুনাল ঘোষ। আদালত সেদিন এনিয়ে সিবিআইয়ের মতামত জানতে চেয়েছিল। আজ আদালতে কুনাল ঘোষ বলেন তিনি এসএফআইও, ইডি, সিবিআইকে সহযোগিতা করেছেন।

তার আয়কর, বিজ্ঞাপন বাবদ কত টাকা পেয়েছেন, সংস্থার ব্যালান্স শিট, অডিট রিপোর্ট, তিরানব্বই পাতার সিবিআইকে লেখা চিঠি সব দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও যারা তদন্তের বিরোধিতা করছে, যারা তদন্তের সহযোগিতা করছে তারা কীভাবে সমান হয়ে যায়? আদালতে কুনাল আরও বলেন,তাকে ভিতরে রাখা হচ্ছে, আবার নতুন করে জেল হেফাজত চাইছে সিবিআই, কিন্তু যারা তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে, তারা বাইরে আছে, তাহলে তাকে জেলে রেখে কী লাভ? রাজ্য পুলিসের বিরুদ্ধে এদিনও বিষোদগার করেছেন কুনাল ঘোষ।

এজলাসে কুনাল বলেন, রাজ্য পুলিস যখন তদন্ত করছিল। তখন তদন্তের থেকেও হেনস্থার উদ্দেশ্য বেশি ছিল। সিবিআই সেরকম কিছু না করলেও, যা করছে তা মানা যায় না। সিবিআই 164 -এ গোপনজবানবন্দি বারণ করছে, গোপণ জবানবন্দি দিতে চাই। কুনাল ঘোষের বিস্তারিত বক্তব্য শোনার পর বিচারক সিবিআই আধিকারিককে ডাকেন। তার কাছে বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, গোপন জবানবন্দির বিষয়ে কী বক্তব্য?

আদালতে সিবিআই জানায়,  কুনাল ঘোষের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার  প্রয়োজন নেই। কারণ একাধিকবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুজোর ছুটির মধ্যেও প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ফলে আলাদা করে কুনাল ঘোষের গোপণ জবানবন্দির প্রয়োজনীয়তা নেই। এরপর  বিচারক কুনাল ঘোষকে জিজ্ঞাসা করেন সিবিআই না চাইলেও ,তিনি গোপন জবানবন্দি দিতে চান কী না। কুনাল ঘোষ বলেন গোপন জবানবন্দি দিতে তিনি রাজি। এবার আদালত ঠিক করুক।

.