ভোটে পরবর্তী হিংসা বন্ধে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন কমিশনের

ভোটের পর হিংসা বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন।

Updated By: Jul 23, 2013, 10:19 AM IST

ভোটের পর হিংসা বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন।
ভোট শেষ হওয়ার পর আরও ১৫ দিন যাতে ৪৫ কোম্পানি বাহিনী থেকে যায় সে জন্য কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছে রাজ্য।
প্রথম তিন দফার মতো চতুর্থ দফাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠিকমতো ব্যবহার না করার অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। কাজ না থাকায় বীরভূমে আসা বাহিনীর জওয়ানদের অনেকেই এ দিন চলে যান রাষ্ট্রপতির গ্রামের বাড়ি দেখতে।     
উত্তেজনা প্রবণ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। কাজ না থাকায় বাহিনীর বেশ কয়েকজন জওয়ান ভোট চলার সময়ই চলে যান বীরভূমের মিরিটিতে। 
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের গ্রামের বাড়ি দেখতে।
 
প্রথম তিন দফার মতো চতুর্থ দফাতেও ছবিটা বদলায়নি। ফলে, একের পর এক মৃত্যু, বেপরোয়া সন্ত্রাসের সাক্ষী থাকল চতুর্থ দফার ভোটও।
 
ভোটে হিংসার দায়টা কার্যত কমিশনের ঘাড়ে ঠেলে দিয়ে রবিবারই দলের ওয়েবসাইটে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, কে কোন রাজনৈতিক দলের সেটা বড় কথা নয়। প্রতিটি মৃত্যুই দুঃখজনক। ভোট পরিচালনার দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের, সরকারের নয়। কমিশনকে চাহিদা মতো বাহিনী দেওয়া হয়েছে।  
 
সোমবার কমিশন বোঝাল সরকার পর্যাপ্ত বাহিনীর ব্যবস্থা করেনি।
 
সোমবারই হাইকোর্টে ভোটপ্রচারে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। হিংসা বন্ধে নজরদারি চালাতে কমিশন ও সরকারের প্রতিনিধিদের নিয়ে চারটি বিশেষ দল তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। চতুর্থ দফার ভোটপর্বের আগে একাধিক প্রাণহানি হলেও কমিশন কিন্তু আদালতে কিছুই জানাল না। আর ভোটযুদ্ধের শেষপর্বে কমিশনের অনুরোধও তড়িঘড়ি মানল সরকার।
 
কমিশনের অনুরোধের পরে সোমবারই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস ঠেকাতে পনেরো দিনের জন্য ৪৫ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ভোটের পরে সন্ত্রাস ঠেকানোর পুরো দায়িত্বটাই সরকারের। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে সরকারেরই সুবিধা। তাই ভোটের পরে হিংসা ঠেকাতে কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে অনুরোধ করার সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজ্য সরকার।   
 

.