মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে নামছে কমিশন

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এবার তদন্তে নামছে কমিশন। সিপিআইএম রাজ্য কমিটির অভিযোগ বুধবার বনগাঁর এক সভায় বেশ কিছু প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সেই অভিযোগ তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানিয়েছেন। কমিশন তার ভিত্তিতে জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাচ্ছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গতকাল রাজ্যপালের গলায় যে উদ্যোগের কথা শোনা গিয়েছিল। তারপর আজই নির্বাচন কমিশনার দিল্লি যান। তবে মীরা পাণ্ডের দাবি নেহাতই ব্যক্তিগত কাজে দিল্লি গেছেন তিনি।

Updated By: Jun 20, 2013, 10:35 PM IST

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এবার তদন্তে নামছে কমিশন। সিপিআইএম রাজ্য কমিটির অভিযোগ বুধবার বনগাঁর এক সভায় বেশ কিছু প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সেই অভিযোগ তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানিয়েছেন। কমিশন তার ভিত্তিতে জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাচ্ছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গতকাল রাজ্যপালের গলায় যে উদ্যোগের কথা শোনা গিয়েছিল। তারপর আজই নির্বাচন কমিশনার দিল্লি যান। তবে মীরা পাণ্ডের দাবি নেহাতই ব্যক্তিগত কাজে দিল্লি গেছেন তিনি।
 
আগামী ২ জুলাই প্রথম দফার পঞ্চায়েত ভোট। হাতে দু-সপ্তাহেরও কম সময়। ফলে এই মুহূর্তে চালু হয়ে গেছে নির্বাচনী আচরণবিধি চালু। কিন্তু বনগাঁর সভায় মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্প ঘোষণা ঘিরে দেখা দেয় বিতর্ক। বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে সিপিআইএম রাজ্যকমিটি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলাশাসকদের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাচ্ছে কমিশন।
এদিকে বুধবারই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জট কাটাতে ময়দানে নামেন রাজ্যপাল নিজেই।  রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে সবরকম চেষ্টা করবেন। আর তারপরেই বৃহস্পতিবার দিল্লি যান খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর দিল্লিসফরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনা। কমিশনার অবশ্য জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কাজেই দিল্লি গেছেন তিনি।  তবে সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে কত বাহিনী পাওয়া যেতে পারে সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতেই তাঁর এই দিল্লি সফর। সেক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। সোমবারের মধ্যেই কেন্দ্র জানাবে, তারা কত বাহিনী দিতে পারবে। দোসরা জুলাই প্রথম দফার পঞ্চায়েত নির্বাচন।  সোমবার কেন্দ্রের মতামত জানানোর পর হাতে থাকবে মাত্র এক সপ্তাহ। এই পরিস্থিতিতে আদৌ নির্বাচন সম্ভব কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাহিনী নিয়ে আগাম ধারণা পেতেই মীরা পাণ্ডের দিল্লি সফর বলে মনে করছেন অনেকেই।
তবে নির্বাচন নিয়ে যতই অনিশ্চয়তা থাকুক না কেন ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীর সংখ্যা বেশি সেইসব জায়গার সেখানকার জেলশাসকরা তদন্ত শুরু করেছেন। অন্যিদেক বাম দলগুলির অভিযোগ নির্বাচন কমিশন কোনও অভিযোগ পেলেও শাস্তির ব্যবস্থা করছে না। পঞ্চায়েতে মোট তিনশো উনত্রিশটি ব্লকে নির্বাচন হবে। প্রার্থীদের যাতে মনোনয়ন জমা দিতে সুবিধা হয় ইতিমধ্যেই তারজন্য একশো দুইটি ব্লকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জায়গা বিডিও থেকে এসডিও অফিসে সরানো হয়েছে।

.