রোজভ্যালি তদন্তে এবার CBI নজরে ডাকসাইটে প্রাক্তন বাম মন্ত্রী!

গ্ল্যামারের পর পলিটিক্স। রোজভ্যালি তদন্তে এবার CBI আতসকাচে বাম আমলের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, রাজনৈতিক পালা বদলের আগে রাজারহাট-নিউটাউনে ১৪০ কাঠা জমি কেনে রোজভ্যালি। সেই ডিলে আগাগোড়া মধ্যস্থতা করেন তত্‍কালীন দাপুটে সিপিএম নেতা ও ক্যাবিনেট মন্ত্রী।

Updated By: Jan 5, 2017, 09:08 PM IST
রোজভ্যালি তদন্তে এবার CBI নজরে ডাকসাইটে প্রাক্তন বাম মন্ত্রী!

ওয়েব ডেস্ক : গ্ল্যামারের পর পলিটিক্স। রোজভ্যালি তদন্তে এবার CBI আতসকাচে বাম আমলের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, রাজনৈতিক পালা বদলের আগে রাজারহাট-নিউটাউনে ১৪০ কাঠা জমি কেনে রোজভ্যালি। সেই ডিলে আগাগোড়া মধ্যস্থতা করেন তত্‍কালীন দাপুটে সিপিএম নেতা ও ক্যাবিনেট মন্ত্রী।

থ্রিল-গ্ল্যামার-পলিটিক্স। রোজভ্যালির তদন্তে প্রতি মোড়ে নয়া চমক। টলিউড কাঁপানো নায়িকার পর গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে বাম আমলের প্রভাবশালী এক মন্ত্রী। CBI -এর দাবি..সিপিএমের এক সময়ের দাপুটে এই নেতা রোজভ্যালি থেকে আর্থিক ফায়দা তুলেছেন। গৌতম কুণ্ডর কোম্পানি থেকে ফায়দা তোলার তালিকায় ঢুকে পড়ল তিনি। CBI-এর দাবি..রাজারহাট-নিউটাউনে জমি কেনাবেচায় মধ্যস্থতা করেন ওই তিনি।

২০০৯-২০১০ সালে নিউটাউন-রাজারহাটে ১৪০ কাঠা জমি কেনেন গৌতম কুণ্ডু। এক কোম্পানির কাছ থেকে গোটা জমি কেনে রোজভ্যালি। চাষিদের কাছ থেকে একলপ্তে গোটা জমি কিনে নেয় ওই কোম্পানি। তারপর পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে পুরো জমি বিক্রি করা হয় রোজভ্যালিকে। এই কোম্পানির মালিক বাম আমলের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মেজছেলে। CBI-এর দাবি, জমি কেনাবেচা মধ্যস্থতায় বড় ভূমিকা ছিল মন্ত্রী ও তাঁর ছেলের। আর সেই সূত্রেই গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে বেশকয়েকবার বৈঠকও করেন ডাকসাইটে সেই CPM নেতা।

কোন ভিত্তিতে দাবি?

জমি বিক্রির রেজিস্ট্রেশন পেপারে অবশ্য মন্ত্রীর ছেলের কোম্পানির উল্লেখ নেই। কিন্তু..চাষিদের  কাছ থেকে যে পাওয়ার অব অ্যাটর্নির  নেওয়া হয় তার কপি CBI-এর হাতে এসেছে সেই কাগজপত্রে নাম রয়েছে মন্ত্রীর ছেলের কোম্পানির। CBI-এর হাতে এসেছে বেশকয়েকটি কাঁচা রশিদও, যা প্রমাণ করে ওই কোম্পানির মাধ্যমেই জমি বিক্রির টাকা পান চাষিরা। ইতিমধ্যেই, বেশকয়েকজন চাষির সঙ্গে কথা বলেছেন CBI আধিকারিকরা। তাদের বয়ান অনুযায়ী...চাষিরা যে দামে জমি বিক্রি করেন ও গৌতম কুণ্ডু যে দামে জমি কেনেন তার মধ্যে বিস্তর ফারাক।

CBI নিশ্চিত, জমি বিক্রির মধ্যস্থতাকারী কোম্পানি বড় অঙ্কের কমিশন রেখে জমি বেচে। CBI-র দাবি, আর গোটা ডিলটাই হয় মন্ত্রীর প্রভাবে।

.