ভেবেছিলাম রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রয়োজন হবে না: রাজ্যপাল

অবশেষে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে `অসাংবিধানিক` তকমা পাওয়া `সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন আইন` প্রতিক্রিয়া জানালেন মায়ানকোটে কেলাথ নারায়ণন। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দাবি, তিনি ভেবেছিলেন সিঙ্গুর আইনে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রয়োজন হবে না। তাঁকে রাজ্যের তরফে তেমনই আইনি পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

Updated By: Jun 25, 2012, 02:08 PM IST

অবশেষে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে `অসাংবিধানিক` তকমা পাওয়া `সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন আইন` প্রতিক্রিয়া জানালেন মায়ানকোটে কেলাথ নারায়ণন। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দাবি, তিনি ভেবেছিলেন সিঙ্গুর আইনে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রয়োজন হবে না। তাঁকে রাজ্যের তরফে তেমনই আইনি পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গুর মামলার রায় দিতে গিয়ে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিল সংবিধান অনুযায়ী, জমি সংক্রান্ত কোনও আইনে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগে। কিন্তু সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন আইনের ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। তাই এই আইন অবৈধ। এই পরিস্থিতিতে এদিন রাজ্যপালের বক্তব্য নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সিঙ্গুর মামলায় সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করল টাটারা। গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে সিঙ্গুর জমি আইন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া জন্য রাজ্য সরকারকে দু`মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তার আগেই আজ ক্যাভিয়েট দাখিল করল টাটারা। ক্যাভিয়েটের ফলে টাটাদের না জানিয়ে একতরফাভাবে কেবল রাজ্য সরকারের বক্তব্য শুনেই কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি- পিনাকি চন্দ্র ঘোষ ও মৃণালকান্তি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করতে পারবে না শীর্ষ আদালত।

.