শিলাদিত্যকাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল মানবাধিকার কমিশন

শিলাদিত্য চৌধুরীর গ্রেফতারির ঘটনায় ফের অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। শুক্রবার এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। এর ভিত্তিতে তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। রাজ্য বিজেপি-র তরফে দায়ের করা এক অভিযোগের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ওই নির্দেশে কমিশনের এডিজিকেই তদন্ত করতে বলা হয়েছে।

Updated By: Aug 17, 2012, 07:50 PM IST

শিলাদিত্য চৌধুরীর গ্রেফতারির ঘটনায় ফের অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। শুক্রবার এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। এর ভিত্তিতে তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। রাজ্য বিজেপি-র তরফে দায়ের করা এক অভিযোগের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ওই নির্দেশে কমিশনের এডিজিকেই তদন্ত করতে বলা হয়েছে। এই তদন্ত করে তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে এডিজিকে। কমিশন প্রাথমিকভাবে মনে করেছে এই ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগগুলি উঠেছে তার বাস্তবতা যাচাইয়ের অবকাশ আছে। সেই কারণেই কমিশনের চেয়ারম্যান অশোক কুমার গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
অগাস্টের ৮ তারিখ বেলপাহাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভা চলাকালীন মঞ্চের সামনে গিয়ে মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন শিলাদিত্য। তারপরেই তাঁকে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে গিয়ে জেরা করে পুলিস। তখন তাঁকে ছড়ে দেওয়া হলেও ১১ তারিখ শিলাদিত্য চৌধুরীকে গ্রেফতার করে ঝাড়গ্রাম মহকুমা আদালেত পেশ করে বেলপাহাড়ি থানার পুলিস। তাঁকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিসকে মারধর করা, নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়া, আবার সেই নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যেই বহু লোক থাকার সুযোগে শিলাদিত্য চৌধুরী পালিয়ে গিয়েছেন বলে পুলিস লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত চিত্র সাংবাদিকদের ক্যামেরায় যে ছবি ধরা পড়েছে তা কিন্তু শিলাদিত্য চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ছবি বলছে সেদিন নিরাপত্তাবেষ্টনীর বাইরেই ছিলেন শিলাদিত্য চৌধুরী। উপস্থিত সরকারি কর্মীদের গায়ে হাত তোলা বা মারধরের ঘটনা দূরে থাক, কোনও সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার ছবিও ধরা পড়েনি কোনও ক্যামেরায়। অর্থাত্‍ শিলাদিত্য চৌধুরীর বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, গত বুধবার তেমন কিছুই ঘটেনি। বরং মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ায় উচ্চপদস্থ পুলিসকর্মীরাই শিলাদিত্য চৌধুরীকে নিরাপত্তাবেষ্টনীর ভিতর দিয়ে মঞ্চের পিছন দিকে নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্তুষ্ট হয়ে পুলিস তাঁকে ছেড়েও দেয়। স্বাভাবিকভাবেই পুলিসের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর আইনজীবী।

.