৪৩ বছর পর বন্ধুকে মিলিয়ে দিল ফেসবুক, পড়ুন এক টিভি সঞ্চালকের স্বপ্ন সফলের গল্প

Updated By: Feb 8, 2016, 04:18 PM IST
৪৩ বছর পর বন্ধুকে মিলিয়ে দিল ফেসবুক, পড়ুন এক টিভি সঞ্চালকের স্বপ্ন সফলের গল্প

সাব্বাস ফেসবুক!! !! !!
অবশেষে মিলল মিতার- মিতালীর খোঁজ.....!!
নেপোলিয়ন বোনাপার্টের একটা কথাই আজ বারবার আজ মনে পড়ছে... "Impossible is a word to be found only in the dictionary of fools". সত্যি! একথার সার্থকতা আমি আজ বুঝি।

কীভাবে বর্ণনা করব এই সত্যকে ! এতো একথায় চমৎকার হয়ে যাওয়া! সত্যিই যেন এখনও ঘোরের মধ্যে আছি! ফেসবুকের নিন্দুকদের কাছে এ একটা এমন নিদর্শন যা দীর্ঘ ৪৩ বছরের অসম্ভবকে মাত্র এক সপ্তাহে সম্ভব করে দেখিয়ে দিয়েছে। যা সত্যিই এক কথায় অভাবনীয়, অনবদ্য। হুজুকের বশবর্তী হয়েই যে খোঁজকে চ্যলেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলাম,দুই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বন্ধুকে মিলিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ।ভাবিনি এত তাড়াতাড়ি তা সম্ভব হয়ে যাবে। ক্লাইমেক্সেই লেখা হয়ে যাবে 'The end'।

কলকাতার মিতার সঙ্গে ৪৩ বছর পর আবার নতুন করে আলাপ হবে লক্ষৌয়ের মিতালির। ফোনের ওপার থেকে ভেসে এল একটা ছোট্ট শব্দ, "হ্যালো"!! এপার থেকেও প্রত্যুত্তর,"হ্যালো"। ব্যাস,এর সাথে সাথেই অবসান দীর্ঘ ৪৩ বছরের অপেক্ষার।মাত্র ১০ দিন। আর যা সম্ভব হল মার্ক জুকেরবার্গের যুগান্তকারী আবিষ্কার ফেসবুকের হাত ধরে। তবে ভাববেন না মাউসের একটা ক্লিকেই সম্ভব হল এই অসম্ভব। তাহলে তো আর এ খোঁজ কোন গল্পই হতো না। এখন পিছনের দিকে তাকালে কখনো কখনো নিজেই নিজের পিঠ চাপড়াতে ইচ্ছে করে। সত্যিই সঠিক দিশায় খোঁজ করলে হয়ত ভগবানকেও পাওয়া সম্ভব।
মিতালী দাস। এই নামের ৫০০ প্রোফাইল খুটিয়ে খুটিয়ে খুঁজেও যখন তাঁকে পাওয়া গেল না তখনই শুরু হল অসাধ্যসাধনের খেলা। জানি এত বড় দেশে একটা মানুষকে খুঁজে বার করা খুবই কঠিন তাই সুকৌশলে পরিকল্পিত পথে শুরু হল খোঁজ। নানা মানুষ, নানা গ্রুপ,নানা প্রোফাইলের শেয়ার হল আমরা সেই পোস্ট।
(https://www.facebook.com/kunal.bose.79/posts/926491277420444?pnref=story)

কত চেনা অচেনা মানুষের সঙ্গে আলাপ হল,কথা হল। আশ্চর্য হলাম তাদের অভাবনীয় মানবিকতা দেখে। কেউ এগিয়ে এলেন কেউ বা এগিয়ে আসার প্রতিশ্রুত দিলেন। তবে নিরাশ করলেন না কেউই। এক একটা দিন, এক একটা মুহুর্তে চড়তে লাগলো উত্তেজনার পারদ। ধীরে ধীরে আসতে শুরু হল পজেটিভ রেসপন্স। অচেনা ভিড়ের মুখে চলল মিতালীর খোঁজ। "আমরা এলাহাবাদের বাঙালি '- এই পাবলিক গ্রুপেই খোঁজ মিলল এক মসীহার, সন্দীপ রায়। যার অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও আত্মবিশ্বাস ডানা যোগ করল আমরা এই জার্নির। সামান্য কিছু তথ্য ও তার পূর্ব পরিচিতের সূত্র ধরেই যিনি পৌছে গেলেন লক্ষৌয়ের কৃষ্ণা কলোনির সেই বহু প্রতিক্ষিত ঠিকানায়। সন্দীপ বাবু আপনাদের মত মানুষ আজও আছেন বলেই হয়ত আমরা আছি, মনুষ্যত্ব শব্দটার অস্তিত্ব আজও রয়ে গেছে।

প্লট যেহেতু ৭ এর দশকের তাই এই মিলনা বিছাড়না তো থাকবেই। এই এক ঢিলে পাওয়া গিয়েছে মিতার আরও কিছু বন্ধুকে...কবিতা সাহা, সবিতা সরকার, অর্চনা রয়। এবার আমার কাজ শেষ। তোমরা সকলেই ভাল থেকো।

 

.