শিক্ষা দফতরের কমিটিকে 'না' যাদবপুরের পড়ুয়াদের, প্রশ্ন উঠছে কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে

কাজ শুরুর আগেই বিতর্কে জড়াল যাদবপুর কাণ্ডে শিক্ষা দফতরের কমিটি। ছাত্রীর যৌন নিগ্রহের তদন্তে আজই পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়েছে শিক্ষা দফতর। কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। আঙুল তুলেছেন, কমিটির সদস্যদের তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার দিকে। রাজ্যের দ্বারস্থ হয়েছেন খোদ নির্যাতিতা। তাই যৌন নিগ্রহের নিরপেক্ষ তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। পাঁচ সদস্যের কমিটি তৈরির কারণ হিসেবে সোমবার এই যুক্তিই দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট পেশ করতে অনুরোধ করেছেন তিনি।  

Updated By: Sep 22, 2014, 06:02 PM IST
শিক্ষা দফতরের কমিটিকে 'না' যাদবপুরের পড়ুয়াদের, প্রশ্ন উঠছে কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে

কলকাতা: কাজ শুরুর আগেই বিতর্কে জড়াল যাদবপুর কাণ্ডে শিক্ষা দফতরের কমিটি। ছাত্রীর যৌন নিগ্রহের তদন্তে আজই পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়েছে শিক্ষা দফতর। কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। আঙুল তুলেছেন, কমিটির সদস্যদের তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার দিকে। রাজ্যের দ্বারস্থ হয়েছেন খোদ নির্যাতিতা। তাই যৌন নিগ্রহের নিরপেক্ষ তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। পাঁচ সদস্যের কমিটি তৈরির কারণ হিসেবে সোমবার এই যুক্তিই দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট পেশ করতে অনুরোধ করেছেন তিনি।  

কিন্তু, কাজ শুরুর আগেই শিক্ষা দফতরের কমিটিকে নাকত করে দিলেন যাদবপুরের আন্দোলনকারীরা।

কমিটির নিরেপক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, কমিটির অধিকাংশ সদস্যই শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। সত্যিই কি তাই?

তথ্য বলছে, কমিটির প্রধান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তৃণমূল সরকারের আমলেই উপাচার্য পদে পুনর্বহাল হয়েছেন তিনি।
কমিটির অন্যতম সদস্য নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সহ সভাপতি।
তদন্ত কমিটির আরেক সদস্য এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচয় তিনি।
বেথুন কলেজের প্রিন্সিপাল সঙ্গীতা ত্রিপাঠি মিত্র তদন্ত কমিটির মহিলা সদস্য। তিনিও পরিচিত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হিসেবে।
তদন্ত কমিটির পঞ্চম সদস্য সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অধ্যাপক অনন্যা চক্রবর্তী। তিনিও শাসক ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

এই কারণগুলিকেই যুক্তি হিসেবে পেশ করছেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের দাবি, যৌন নির্যাতনের তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি পুনর্গঠন করা হোক। তাতে সামিল করা হোক, একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও একজন নারী আন্দোলন কর্মীকে। এরসঙ্গেই আন্দোলনকারীরা জুড়ে দিয়েছেন পুলিসি অভিযানে ছাত্রীদের যৌন নিগ্রহের অভিযোগটি।

 

.