"সারদা থেকে প্রথম সুবিধাভোগী ব্যক্তির নাম মমতা", সিবিআইয়ের কাছে বিস্ফোরক চিঠি কুণালের

সারদা কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরেই, জেলে বসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে একানব্বই পাতার চিঠি লিখেছিলেন কুণাল ঘোষ।

Updated By: Jun 8, 2014, 04:10 PM IST

সারদা কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরেই, জেলে বসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে একানব্বই পাতার চিঠি লিখেছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই চিঠি সিবিআইয়ের সিজিও কমপ্লেক্সের অফিসে হাতে হাতে পৌছে দেওয়া হয়। চিঠির বিষয়বস্তু হাতে পেয়েছে চব্বিশ ঘণ্টা। চিঠির ছত্রে ছত্রে রাজ্য পুলিসের বিরুদ্ধে ঝরে পড়েছে একরাশ ক্ষোভ ও হতাশা। সারদা থেকে প্রথম সুবিধাভোগী ব্যক্তির নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদার যা সুফল মমতা একা পেয়েছেন। আর কেউ পাননি এতটা, অভিযোগ জেলবন্দি তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের। সিবিআইকে তাঁর হাতে লেখা একানব্বই পাতার বিস্ফোরক চিঠিতে কুণাল ঘোষের দাবি, ২০১১ তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের পিছনে সারদা একটা বড় ফ্যাক্টর।

**পঞ্চম পৃষ্ঠার চতুর্থ অনুচ্ছেদে কুণাল ঘোষ লিখেছেন,
সারদা ক্ষেত্রে দেখলাম, তৃণমূলের প্রভাবশালীরা মালিকের বন্ধু। আমি তো শুধু মিডিয়া দেখতাম। বাকিরা তো নানাভাবে যুক্ত।

** পঞ্চম পৃষ্ঠার সপ্তম অনুচ্ছেদে কুণাল ঘোষ লিখেছেন,
প্রথমে আমাকে সামনে রেখে গোটা মিডিয়াটা ব্যবহার করা হল। কাগজের প্রতি লাইন, টিভির প্রতি মিনিট, দিদির জন্য ব্যবহৃত। নিরপেক্ষ কিছু হলেই ফোনে রাগ, ধমক, মালিককে চাপ।

**অষ্টম পৃষ্ঠার প্রথম অনুচ্ছেদে কুণাল ঘোষ লিখেছেন,
সারদা মিডিয়ার যা খরচ হয়েছে(সেন বলতে পারবেন)তার প্রথম সুবিধাভোগী ব্যক্তির নাম মমতা। এটা কোনও টাকা নেওয়ার থেকেও বেশি। টাকা নিয়েছেন কি নেননি, আমি সে বিষয়ে বলছি না। বলছি, সরাসরি টাকা নেওয়ার থেকেও এটা কি কম?

**অষ্টম পৃষ্ঠার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে কুণাল ঘোষ লিখেছেন,
মনে রাখুন দুহাজার এক সালের আগেও মমতা রেলমন্ত্রী ছিলেন। তখনও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়েছিল। কিন্তু মমতা জেতেননি। দুহাজার এগারোতে জিতলেন। এই পারিপার্শ্বিক কারণগুলির মধ্যে প্রচার ও সারদা একটা বড় ফ্যাক্টর। সারদার যা সুফল মমতা একা পেয়েছেন, আর কেউ পাননি এতটা।

**ষোলোতম পৃষ্ঠার পঞ্চম অনুচ্ছেদে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, সারদা মিডিয়ার পূর্ণ সুবিধা নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও এখনকার রাজ্য সরকার। কাগজের প্রতি পাতা, চ্যানেলের প্রতি মিনিট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রচার দিয়েছে তাদের। এখন আমাকে মিথ্যা অভিযোগে হয়রান করে নিজেদের আড়াল করছে। পুলিসকে তদন্তে সাহায্য করে দেখেছি পুলিস একতরফা চলছে। উপর মহলের নির্দেশে চলছে। আমি হতাশ, বীতশ্রদ্ধ।

.