ক্ষতিপূরণ না পেলে মেট্রোকে জমি দেবে না কলকাতা পুরসভা

মেট্রো সম্প্রসারণ নিয়ে এতদিন কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন চললেও এবার বাধ সাধল কলকাতা পুরসভা। ক্ষতিপূরণ না পেলে মেট্রোকে জমি দেওয়া হবে না। পুরসভা এই দাবিতে অনড় থাকায় কাটল না গড়িয়া-এয়ারপোর্ট রুটের জমি জট। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানোয় কৃষকরা অবশ্য জমি দিতে রাজি হয়েছেন।

Updated By: Jan 25, 2014, 02:13 PM IST

মেট্রো সম্প্রসারণ নিয়ে এতদিন কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন চললেও এবার বাধ সাধল কলকাতা পুরসভা। ক্ষতিপূরণ না পেলে মেট্রোকে জমি দেওয়া হবে না। পুরসভা এই দাবিতে অনড় থাকায় কাটল না গড়িয়া-এয়ারপোর্ট রুটের জমি জট। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানোয় কৃষকরা অবশ্য জমি দিতে রাজি হয়েছেন।

গত দুমাস ধরে জমি জটে আটকে রয়েছে গড়িয়া-এয়ারপোর্ট রুটে মেট্রো সম্প্রসারণের কাজ। কৃষকরা ক্ষতিপূরণের অঙ্কে রাজি না হওয়ায় এতদিন বাইশ বিঘা জমিতে কাজ করতে পারছিলেন না মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ওই জমির মালিক কলকাতা পুরসভা। বাইশ বিঘা জমির মধ্যে বারো বিঘার উপর দিয়ে যাবে রেল লাইন এবং বাকি দশ বিঘা জমিতে হবে দুটি স্টেশন। এই জমিতে চাষ করেন মোট সাতাত্তর জন কৃষক। জমিজট কাটাতে শুক্রবার পুরসভায় বৈঠকে বসে সব পক্ষ। বারো বিঘা জমিতে ওপর দিয়ে রেল লাইন যাওয়ায় ক্ষতিপূরণ নেবে না পুরসভা।

কাঠা প্রতি ক্ষতিপূরণের পরিমাণ চল্লিশ হাজার থেকে বাড়িয়ে বাহান্ন হাজার টাকা করায় জমি দিতে আপত্তি নেই কৃষকদেরও।কিন্তু যে দশ বিঘা জমিতে স্টেশন হবে, তার জন্য কৃষকদের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে পুরসভাও। মেট্রো কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন, নাগরিক স্বাচ্ছন্দের এই সামাজিক প্রকল্পে কেন পুরসভাকে ক্ষতিপূরণ দেবে রেল।

এই অবস্থায় বারো বিঘা জমি নিয়ে জট কাটলেও বাকি দশ বিঘা নিয়ে বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। মেট্রো কর্তৃপক্ষ দ্রুত লাইন পাতার কাজ শুরু করতে চাইলেও তাও করা যাচ্ছে না। কারণ কৃষকদের দাবি, হাতে ক্ষতিপূরণের চেক না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা জমি ছাড়বেন না।

.