মেডিক্যাল কলেজে বিস্ফোরণ না দুর্ঘটনা প্রশাসনিক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

হাসপাতালের মধ্যে বিস্ফোরণ, আর তাঁকে ঘিরেই প্রশাসনিক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। বিস্ফোরণ নিয়ে পুলিস, চিকিত্সক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে বিস্তর ফারাক ধরা পড়ল। ধরা পড়ল অসঙ্গতিও। ধোঁয়াশা তৈরি হল বিস্ফোরণের কারণ নিয়েও।

Updated By: Jun 30, 2012, 09:18 PM IST

হাসপাতালের মধ্যে বিস্ফোরণ, আর তাঁকে ঘিরেই প্রশাসনিক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। বিস্ফোরণ নিয়ে পুলিস, চিকিত্সক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে বিস্তর ফারাক ধরা পড়ল। ধরা পড়ল অসঙ্গতিও। ধোঁয়াশা তৈরি হল বিস্ফোরণের কারণ নিয়েও।
শনিবার সকাল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। ঘটনাস্থল থেকে তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করে পাঠান ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য। কলকাতা পুলিসের বক্তব্য,কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়া থেকেই এই বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলে একটি ভাঙা বোতল পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে সাদা রঙের তরল পদার্থ। এক্সপ্লোসিভ ভেপার ডিটেক্টরে কোনও বিস্ফোরকের প্রমান মেলেনি। নজরে আসেনি কোনও নাশকতার সম্ভাবনা।
যদিও ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী এবং আহত অমিত রাউতের বক্তব্য ভিন্ন। তাঁর মতে, বিস্ফোরণই ঘটেছে। প্লাস্টিকে মোড়া একটি বস্তু ঝাটা দিয়ে সরাতে দেওয়ালে লেগে ফেটে যায়। অমিতের মূল আঘাত লেগেছে চোখে। 
শুধু তাই নয়, ঘটনার পরেই ঘটনাস্থল থেকে সপ্লিন্টার তুলে দেখিয়েছিলেন হাসপাতালের কর্মীরাই। চিকিত্সক, ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীরা যা বলছেন তাতে হাতবোমা বা পেটো বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিন্তু পুলিসের মতোই হাসপাতাল সুপারেরও বক্তব্য, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি।
কলকাতার অন্যতম এই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একটি বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে বক্তব্য আর পাল্টা বক্তব্যে প্রশাসনিক দুর্বলতা প্রকাশ্যে এসেছে। 

.