বাম আমলের শেষ পর্বে আলু কেলেঙ্কারি! গুরুতর বেনিয়মের অভিযোগ রিপোর্টে

বাম আমলের শেষ পর্বে আলু নিয়ে গুরুতর বেনিয়মের অভিযোগ উঠল। আলু কেনা ও বন্টনে এই বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম। বর্তমান সরকারকে পেশ করা নিগমের সেই রিপোর্ট এখন আমাদের হাতে। কী আছে রিপোর্টে? দেখে নেওয়া যাক।

Updated By: Jan 8, 2015, 06:29 PM IST
বাম আমলের শেষ পর্বে আলু কেলেঙ্কারি! গুরুতর বেনিয়মের অভিযোগ রিপোর্টে

ওয়েব ডেস্ক: বাম আমলের শেষ পর্বে আলু নিয়ে গুরুতর বেনিয়মের অভিযোগ উঠল। আলু কেনা ও বন্টনে এই বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম। বর্তমান সরকারকে পেশ করা নিগমের সেই রিপোর্ট এখন আমাদের হাতে। কী আছে রিপোর্টে? দেখে নেওয়া যাক।
         
২০০৯ সাল। ...বাম জমানার শেষ দিক।

অতি উত্‍পাদনের কারণে দাম পাচ্ছিলেন না আলুচাষিরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকার দায়িত্ব দিয়েছিল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগমকে। তাদের ওপর দায় বর্তায় আলু কেনা ও বন্টনের।

পরেও বছরও আলু সঙ্কট আগাম আশঙ্কা করে একই দায়ভার, ফের ওই সংস্থাকে দেওয়া হয় সরকারের তরফ থেকে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম বা ECSC-র দাবি, সরাসরি কৃষকদের থেকে কিনে, প্রায় দু লক্ষ মেট্রিক টন আলু মজুত করে তারা। যা কিনতে STATE CO-OPERATIVE ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া হয় প্রায় ৮০ কোটি টাকা।

কিন্তু সব হিসেব উল্টে সে বছর অনেকটাই পড়ে যায় আলুর দাম। লোকসানের ভারে ECSC দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকারের। দাবি, তত্‍কালীন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তর নির্দেশে শেষপর্যন্ত ওই আলু পাঠিয়ে দেওয়া হয় শিক্ষা দফতরে। মিড-ডে মিলে ব্যববারের জন্য।

তখনকার মতো  সমস্যা তো মিটল। কিন্তু আলু কিনতে যে টাকা ঋণ নিয়েছিল নিগম, তা কীভাবে শোধ হবে? অর্থদফতর জানিয়ে দেয়,তারাই শোধ করে দেবে ব্যাঙ্ক ঋণ। ২০১৫ সালে এসেও শোধ হয়নি নিগমের সেই ঋণ। কিছু টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হলেও, সিংহভাগটাই বাকি।

রিপোর্টে উঠে এসেছে কিছু বেনিয়মের প্রশ্নও। কেন ECSC কে দিয়ে আলু কেনাবেচা করানো হল? এটা কি তাদের কাজ?শুধুই আশঙ্কার বশে কেন  এত বিপুল পরিমাণ আলু কিনেছিল সরকার? তার আগে কি বাজার সমীক্ষা করা হয়েছিল? এত পরিমাণে আলু কিনতে কে নির্দেশ দিয়েছিলেন? এই বিপুল টাকার আলু কেনাবেচার পেছনে কোনও অন্য লেনদেনের গল্প ছিল না তো- উঠেছে এই প্রশ্নও।

.