রোমহর্ষক অভিযানের পর পঞ্জাব পুলিসের জালে রানাঘাট কাণ্ডের ৫ সন্দেহভাজন

রোমহর্ষক অভিযান। টানটান উত্তেজনার পর পঞ্জাব পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চের জালে ধরা পড়ল রানাঘাট কাণ্ডের ৫ সন্দেহভাজন। কোন পথে অভিযান, ধৃতদের নাম-পরিচয়ের এক্সক্লুসিভ তথ্য ২৪ ঘণ্টার হাতে।   

Updated By: Apr 1, 2015, 11:25 PM IST
রোমহর্ষক অভিযানের পর পঞ্জাব পুলিসের জালে রানাঘাট কাণ্ডের ৫ সন্দেহভাজন

ওয়েব ডেস্ক: রোমহর্ষক অভিযান। টানটান উত্তেজনার পর পঞ্জাব পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চের জালে ধরা পড়ল রানাঘাট কাণ্ডের ৫ সন্দেহভাজন। কোন পথে অভিযান, ধৃতদের নাম-পরিচয়ের এক্সক্লুসিভ তথ্য ২৪ ঘণ্টার হাতে।   

হাতে সিসিটিভি ফুটেজ ও অভিযুক্তদের স্কেচ। জোড়া অস্ত্র। রানাঘাটকাণ্ডে অভিযুক্তদের খোঁজে এটাই সিআইডি-র মূল অস্ত্র। এতে প্রথম সাফল্য, দক্ষিণ মুম্বই থেকে অন্যতম অভিযুক্ত শেখ সালিমকে ধরা। চলছে সঙ্গীদের খোঁজ।

সালিমের থেকেই মেলে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র। জানা যায়, পঞ্জাবের লুধিয়ানায় গা ঢাকা দিয়ে আছে ৪ বাংলাদেশি নাগরিক।  সেলিম, হাবিবুল, জীনাত, আসলাম সোহেল। এরাই সেইরাতে রানাঘাটের ওই স্কুলে ঢুকে গণধর্ষণ ও লুঠপাট চালায় বলে সন্দেহ।
মোবাইল টাওয়ার ট্র্যাক করে নির্দিষ্ট লোকেশন পেতে দেরি হয়নি। জানা যায়, লুধিয়ানায় যোধেবল বস্তিতে ঘর ভাড়া নিয়ে রয়েছে ওই ৫ সন্দেহভাজন।  

সিআইডি যোগাযোগ করে পঞ্জাব পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চের সঙ্গে। দেওয়া হয় সব তথ্য। এবার পঞ্জাব পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অভিযোন শুরু হয়। যা কোনও ফিল্মি Script-কেও হার মানিয়ে দেয়।

যাতে ঘূণাক্ষরেও কেউ কিছু টের না পায়, সেজন্য অভিযান ঘিরে ছিল চূড়ান্ত গোপনীয়তা। খোদ লুধিয়ানার পুলিস কমিশনার অটো চালকের ছদ্মবেশে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌছে যান। অটোয় যাত্রী আর কেউ নন, ছিলেন ADCP বা অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার। সঙ্গে রিকশা চালকের ছদ্মবেশে চার অ্যাসিন্ট্যান্ট কমিশনার। বাড়ির আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে সেই দল।
 
একেবারে অতর্কিতে হানা। কোনওরকম প্রতিরোধের সুযোগই পায়নি ৫ সন্দেহভাজন। ধরার পর লুধিয়ানা পুলিসের সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয় ধৃতদের। সেখানেই চলছে জেরা। চণ্ডীগড়ে পৌঁছেছে সিআইডি-র এক প্রতিনিধি দল।

.