জারি 'করছি করব' মনোভাব, বরাদ্দ টাকা পড়েই রয়েছে, এখনও বেহাল সল্টলেকের নিকাশি প্রকল্প

দু বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও নিকাশি প্রকল্পের কোনও কাজই করতে পারেনি সল্টলেকের বিগত পুরবোর্ড। বরাদ্দ টাকা এসেছিল। কিন্তু পড়ে রয়েছে টাকা। এদিকে জুনেই বোর্ড ভেঙে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে বিধাননগরে। এখনও করছি করব মনোভাব। আর সল্টলেক? জলে ভাসছে উপনগরী। সামান্য বৃষ্টিতেই জল। এ ছবি সল্টলেকের দীর্ঘদিনের।

Updated By: Jul 25, 2015, 12:15 PM IST
জারি 'করছি করব' মনোভাব, বরাদ্দ টাকা পড়েই রয়েছে, এখনও বেহাল সল্টলেকের নিকাশি প্রকল্প

ব্যুরো: দু বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও নিকাশি প্রকল্পের কোনও কাজই করতে পারেনি সল্টলেকের বিগত পুরবোর্ড। বরাদ্দ টাকা এসেছিল। কিন্তু পড়ে রয়েছে টাকা। এদিকে জুনেই বোর্ড ভেঙে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে বিধাননগরে। এখনও করছি করব মনোভাব। আর সল্টলেক? জলে ভাসছে উপনগরী। সামান্য বৃষ্টিতেই জল। এ ছবি সল্টলেকের দীর্ঘদিনের।

২০১৩ সালে বেরিয়ে পড়ে বিধাননগরের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার ছবিটা।

সল্টলেকের মোট পাম্পিং স্টেশন ৮টি। পাম্পের সংখ্যা মোট ৩৭টি। ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ১টি। এর মধ্যে অধিকাংশই খারাপ।

নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে প্রকল্পের নকশা জমা দেয় বিধাননগর পুরসভা। গত সেপ্টেম্বরে প্রকল্পের  টাকাও বরাদ্দ করে নগরোন্নয়ন দফতর। প্রথম পর্বে তিন কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। তিনবার টেন্ডার বাতিল করে পুরসভা। চূড়ান্ত টেন্ডার আজও ডাকা হয়নি।  তাই কাজই শুরু হয়নি। এদিকে পুরবোর্ডের মেয়াদও শেষ। প্রশাসক নিয়োগ হলেও কাজ এগোয়নি। এই বর্ষাতেও জল যন্ত্রণা থেকে রেহাই না পেয়ে হতাশ সল্টলেকের বাসিন্দারা। আর প্রাক্তন পুরবোর্ডের পদাধিকারীরা একে অপরের বিরুদ্ধে দোষ চাপাতেই ব্যস্ত। নিজের দলের নেতাদের অকর্মন্যতা আর রাজ্য সরকার ও পুরসভার সমণ্বয়ের অভাব সামনে আসতেই সাবধানী রাজ্যের নগরোন্নয়নমন্ত্রী।

বিরোধীদের অভিযোগ, নিজেদের মধ্যে দলবাজি,আর আর্থিক লেনদেন মন মতো না হওয়াতেই কাজ হয়নি।

এ অবস্থায়  আদৌ  জলযন্ত্রণা মিটবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান সল্টলেকের বাসিন্দারা।

 

.