সাম্বিয়াকে জেরায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিস

গতরাতে বেকবাগান থেকে গ্রেফতারির পরেই সাম্বিয়াকে নিয়ে আসা হয় লালবাজারে। জেরায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিসের। ঘটনার দিন মদ্যপ অবস্থায়  গাড়ি চালানোর কথা কবুল করেছে সাম্বিয়া দাবি পুলিসের। জিজ্ঞাসাবাদে সাম্বিয়া জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ১২.১০ নাগাদ অডি গাড়িতে রিপন স্ট্রিটের বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর রাত ১২.২০ থেকে রাত ১.০০ পর্যন্ত বৌবাজারের পানশালায় শানু এবং জনির সঙ্গে আড্ডা মারেন। পরে রাত ১.০০ থেকে ২.০০ পর্যন্ত পার্কস্টিট্রের নাইটক্লাবে ছিলেন তিনি। এরপর রাত ২.০০ নাগাদ ক্লাব থেকে বের হন ৩ জন। জয় রাইডের জন্য পরমা ফ্লাইওভারে চলে যান তাঁরা। ফ্লাইওভারের ওপরেই সিগারেট আড্ডার পর, বাইপাস হয়ে যান ৩.১৫ নাগাদ পৌঁছান সল্টলেকে।

Updated By: Jan 17, 2016, 11:07 AM IST
সাম্বিয়াকে জেরায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিস

ওয়েব ডেস্ক: গতরাতে বেকবাগান থেকে গ্রেফতারির পরেই সাম্বিয়াকে নিয়ে আসা হয় লালবাজারে। জেরায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিসের। ঘটনার দিন মদ্যপ অবস্থায়  গাড়ি চালানোর কথা কবুল করেছে সাম্বিয়া দাবি পুলিসের। জিজ্ঞাসাবাদে সাম্বিয়া জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ১২.১০ নাগাদ অডি গাড়িতে রিপন স্ট্রিটের বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর রাত ১২.২০ থেকে রাত ১.০০ পর্যন্ত বৌবাজারের পানশালায় শানু এবং জনির সঙ্গে আড্ডা মারেন। পরে রাত ১.০০ থেকে ২.০০ পর্যন্ত পার্কস্টিট্রের নাইটক্লাবে ছিলেন তিনি। এরপর রাত ২.০০ নাগাদ ক্লাব থেকে বের হন ৩ জন। জয় রাইডের জন্য পরমা ফ্লাইওভারে চলে যান তাঁরা। ফ্লাইওভারের ওপরেই সিগারেট আড্ডার পর, বাইপাস হয়ে যান ৩.১৫ নাগাদ পৌঁছান সল্টলেকে।

এরপর ফের তাঁরা ফিরে আসেন পার্কস্ট্রিটে। সেখান থেকেই খিদিরপুরে এক বন্ধুর বাড়িতে আড্ডা মারতে আসেন। এরপরেই ভোর ৫.৪৫ নাগাদ খিদিরপুর থেকে রেড রোড হয়ে ফেরার পথেই বিপত্তি। তাদের পুরো জয়রাইড জুড়েই ছিল গাড়িতে মদ্যপান। দুর্ঘটনার সময়ে রং লেনেই ছিল গাড়ি। জেরায় জানতে পেরেছে পুলিস। এরপরেই ফারলং রোডে সেনা জওয়ানকে পিষে দিয়ে গাড়ি ফেলে চম্পট দেন তারা। এরপর সকাল ৭.০৪-এ ফের রিপন স্ট্রিটের বাড়িতে ফেরেন দিশেহারা সাম্বিয়া।

গোটা ঘটনার পর থেকেই ফোনে বারবার বাবা মহম্মদ সোহরাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। সকাল ৯.৩০ নাগাদ বাবা নির্দেশ দেন ফেরার হয়ে যাওয়ার। এরপর সকাল ১০.৩০ নাগাদ কোলাঘাটের জন্য বেরিয়ে পড়েন তিনি। বুধবার সন্ধেয় কোলাঘাট থেকে ট্রেনে রাঁচি চলে যান তাঁরা। এরপর বিহারের দিকে রওনা দেন। এরপর বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার গাঢাকা দিয়েই থাকেন ৩ অভিযুক্ত। অন্যদিকে টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় শনিবার কলকাতায় ফেরেন তিনি। 

 

.