ভুয়ো জমিতেই বাজিমাত সারদার

শুধুমাত্র মোটা টাকা তোলার লক্ষ্যে রাজ্যজুড়ে হাজার একরের বেশি জমি কিনেছিল সারদা গোষ্ঠী। সংস্থার এজেন্টরা আমানতকারীদের বোঝাতেন ওই সব জমিতে গড়ে উঠবে স্কুল, কারখানা, হাসপাতাল, আবাসন। লক্ষ্য ছিল আমানতকারীদের আস্থা অর্জন। কিন্তু কোনও জমিতেই কোনও প্রকল্পই হয়নি। 

Updated By: May 6, 2013, 01:15 PM IST

শুধুমাত্র মোটা টাকা তোলার লক্ষ্যে রাজ্যজুড়ে হাজার একরের বেশি জমি কিনেছিল সারদা গোষ্ঠী। সংস্থার এজেন্টরা আমানতকারীদের বোঝাতেন ওই সব জমিতে গড়ে উঠবে স্কুল, কারখানা, হাসপাতাল, আবাসন। লক্ষ্য ছিল আমানতকারীদের আস্থা অর্জন। কিন্তু কোনও জমিতেই কোনও প্রকল্পই হয়নি। 
কর্তৃপক্ষের নির্দেশে  দিনের পর দিন আমানতকারীদের ভুল বুঝিয়ে টাকা তুলেছেন সারদার এজেন্টরা। আমানতকারীদের আস্থা অর্জনের জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিল সারদা গোষ্ঠী। প্রতি জেলায় প্রকল্পের জন্য জমি কিনেছিলেন সুদীপ্ত সেন।  ওই সব জমি সামনে রেখে আমানতকারীদের আস্থা অর্জন করত সংস্থার এজেন্টরা।
আমানতকারীদের বোঝানো হতো, সংস্থায় বিনিয়োগ করা টাকায় ওই জমিতে তৈরি হবে হাসপাতাল, স্কুল, কারখানা, আবাসনের মতো লাভজনক প্রকল্প। যদিও কোনও ক্ষেত্রেই কোনও প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। সারদাকাণ্ডের তদন্তে নেমে সুদীপ্ত সেনের ৩৪৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে পুলিস। যার মধ্যে ১৮০টি অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। পুলিস সূত্রে খবর, এমন সুদীপ্ত সেনের এমন বহু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে যাতে এক টাকাও নেই। এমন বেশ কিছু অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে, যেগুলি খোলার পর থেকে একবারের জন্যও ব্যবহার হয়নি। রাজ্যে সারদা গোষ্ঠীর সাতটি রিজিওনাল অফিস ছিল। প্রতিটি রিজিওনাল অফিস থেকে মাসে প্রায় ষাট কোটি টাকা আসত বলে জেরায় জানিয়েছেন সুদীপ্ত। এখনও পর্যন্ত সারদা গোষ্ঠীর যে ২০০টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার সবটাই আমানতকারীদের দেওয়া নগদ টাকায় কেনা বলে জানিয়েছেন সুদীপ্ত।

.