গড়িয়ায় চলছিল রেল অবরোধ, চিটফান্ড প্রাতারিতদের ওপর হামলা তৃণমূলের

চিটফান্ড বিক্ষোভকারীদের উপর তৃণমূলের হামলা। আক্রান্তদের অভিযোগ নিল না সোনারপুর থানার পুলিস। থানা থেকে জানান হল জিআরপি থেকে লিখিয়ে আনলে তবেই অভিযোগ নেবেন তাঁরা। শুক্রবার সকালে গড়িয়া স্টেশনে চিটফান্ড কাণ্ডে প্রতারিতদের বিক্ষোভের উপর হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনাস্থল থেকে অপহরণ করা হয় এক যাত্রী ও এক বিক্ষোভকারীকে। এর পরেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সোনাপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যান আন্দোলনকারীরা। কিন্তু এলাকাটি সোনারপুর থানার অন্তর্গত নয় বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের।

Updated By: May 2, 2014, 05:30 PM IST

চিটফান্ড বিক্ষোভকারীদের উপর তৃণমূলের হামলা। আক্রান্তদের অভিযোগ নিল না সোনারপুর থানার পুলিস। থানা থেকে জানান হল জিআরপি থেকে লিখিয়ে আনলে তবেই অভিযোগ নেবেন তাঁরা। শুক্রবার সকালে গড়িয়া স্টেশনে চিটফান্ড কাণ্ডে প্রতারিতদের বিক্ষোভের উপর হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনাস্থল থেকে অপহরণ করা হয় এক যাত্রী ও এক বিক্ষোভকারীকে। এর পরেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সোনাপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যান আন্দোলনকারীরা। কিন্তু এলাকাটি সোনারপুর থানার অন্তর্গত নয় বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের।

গড়িয়ায় হামলার তীব্র নিন্দা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তৃণমূলের এই ঔদ্ধত্যের জবাব দেবেন বাংলার মানুষ। এমনই মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী।

গড়িয়া স্টেশনে চিটফান্ড ক্ষতিগ্রস্তদের বিক্ষোভে হামলা চালায় তৃণমূল কংগ্রেস। সোনারপুর রাজপুর পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিভাস মুখার্জির নেতৃত্বে হামলা হয় অবরোধকারীদের উপর। আগের ঘোষণা মতোই আজ সকালে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার মতো গড়িয়া স্টেশনেও অবরোধ শুরু করেন চিটফান্ডে প্রতারিতরা।

অবরোধ তুলতে আসে আরপিএফ, জিআরপি। বুঝিয়ে সুজিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। এরপরেই আসরে নামে তৃণমূল। শুরু হয় অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি, ধস্তাধস্তি।

আচমকাই চিটফান্ডের প্রতারিতদের উপর হামলা শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূল কর্মীদের রোষের মুখে পড়ে ২৪ ঘণ্টা।

পুরো ঘটনার সময়ই গড়িয়া স্টেশনে হাজির ছিলেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার দুনম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিভাস মুখার্জি।

তৃণমূল কর্মীরাই অবরোধকারীদের সরিয়ে দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু করিয়ে দেন। ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না এক বিক্ষোভকারী ও এক নিত্যযাত্রীর।তৃণমূল কর্মীরাই তাঁদের তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরে এলাকার একটি পুকুরের পাশে গুরুতর আহত অবস্থায় খোঁজ পাওয়া যায় একজনের।

অবরোধ দেখে রেল লাইন ধরেই হেঁটে আসছিলেন তাঁরা। তখনই হঠাত্ তাঁদের উপর চড়াও হয় তৃণমূলের কর্মীরা। চলে মারধর। তার পর থেকেই খোঁজ নেই কালাম হোসেনের। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন কালাম হোসেনের সহযাত্রী তন্দ্রিমা চক্রবর্তী।

.