জেলা পরিষদ সভাপতির ক্ষমতা খর্বে বিধানসভায় সোচ্চার বামেরা

উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সভাধিপতির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে বিধানসভায় সোচ্চার হলেন বাম বিধায়করা। এই ইস্যুতে মুলতুবি প্রস্তাব আনার দাবি জানান আনিসুর রহমান এবং এস এম সাদি। অধ্যক্ষ প্রস্তাব গ্রহণে রাজি না হওয়ায় বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বামেরা। পরে, তাঁরা সভা থেকে ওয়াকআউট করেন।

Updated By: Mar 26, 2012, 11:18 PM IST

উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সভাধিপতির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে বিধানসভায় সোচ্চার হলেন বাম বিধায়করা। এই ইস্যুতে মুলতুবি প্রস্তাব আনার দাবি জানান আনিসুর রহমান এবং এস এম সাদি। অধ্যক্ষ প্রস্তাব গ্রহণে রাজি না হওয়ায় বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বামেরা। পরে, তাঁরা সভা থেকে ওয়াকআউট করেন। অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার সদস্যদের না জানিয়ে সরকার এই ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
অন্যদিকে বিরোধী দলনেতার পাল্টা জবাবে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বিধানসভায় এদিন বলেন এই সিদ্ধান্ত বেআইনী বা অসাংবিধানিক নয়। এই আইন তৈরি হয়েছিল বাম আমলেই। সেই আইন অনুযায়ীই কাজ করেছে নতুন সরকার। ৩টি জেলায় উন্নয়নের কাজ সঠিক না হওয়ার কারণেই জেলা শাসকের হাতে শুধু আর্থিক ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন তিনি।
বিধানসভায় ওয়াক আউটের পাশাপাশি মঙ্গলবার জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ সিপিআইএম নেতারা। সোমবার জেলা পরিষদের সভাধিপতির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আপাতত ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে জেলা শাসককে। নদিয়া জেলাতেও এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারির সম্ভাবনা রয়েছে।
বাম শাসিত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের নির্বাচিত সভাধিপতির ক্ষমতা এভাবে কেড়ে নেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বিরোধী শিবিরে। উত্তর চব্বিশ পরগনা সিপিআইএম জেলা সম্পাদক গৌতম দেবের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশেই জেলা পরিষদ এভাবে কার্যত ভেঙে দেওয়া হল। ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া এক দূরভাষ সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, 'নির্বাচিত পরিষদ ভাঙা হচ্ছে। এ অসম্ভব ব্যাপার।' দলের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবাদ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সিপিআইএম এর রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, "এই সরকার প্রথম থেকেই প্রতিহিংসার মনোভাব নিয়ে চলছে। যেভাবে নির্বাচিত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার জন্য গণতন্ত্র বিরোধী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সমস্ত বাম শরিকদল এবং গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হবেন।"
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, জেলা পরিষদের স্থায়ী কমিটিতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছিল বামেরা। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিক্ষোভ কর্মসূচী নিয়েছে সিপিআইএম।

.