জঙ্গি মাহির গতিবিধি চাঞ্চল্যকর, তথ্য তদন্তকারীদের হাতে

 তদন্তকারীদের কাছে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি মাহির।  মূলত কোথায় কোথায় তার ঘাঁটি ছিল, কীভাবে ভারতে প্রবেশ করল মাহি, সেসব তথ্যও উঠে এসেছে পুলিসের হাতে। মাহির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বাংলাদেশের ম্যাপ ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। সেগুলি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Updated By: Nov 29, 2017, 02:16 PM IST
জঙ্গি মাহির গতিবিধি চাঞ্চল্যকর, তথ্য তদন্তকারীদের হাতে

নিজস্ব প্রতিনিধি : নেপাল সীমান্তে এসটিএফের জালে পড়া নিষিদ্ধ বাংলাদেশি সংগঠন আনসারউল্লা বাংলার জঙ্গি আফতাব খান ওরফে ওমর ফারুখ ওরফে মাহির অতীত জীবনের পরতে পরতে রহস্য। ইতিমধ্যে জেরায় তদন্তকারীরা জানতে পরেছেন, পশ্চিমবঙ্গে অবাধ গতিবিধি ছিল মাহির। মূলত কোথায় কোথায় তার ঘাঁটি ছিল, কীভাবে ভারতে প্রবেশ করল মাহি, সেসব তথ্যও উঠে এসেছে পুলিসের হাতে। মাহির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বাংলাদেশের ম্যাপ ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। সেগুলি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: মুকুলের খাসতালুকে ভাঙন রুখতে কাউন্সিলরদের নিয়ে গোপন ক্লাস তৃণমূলে

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ করে জঙ্গি মাহি। বসিরহাটের গাথা গ্রাম দিয়ে রাজ্যে ঢুকে পড়ে সে। একাজে তাকে সাহায্য করেছিল শাহাজাদা নামে এক ব্যক্তি। পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে মাহিকে পুলিসের নজর এড়িয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকিয়ে দিয়েছিল শাহাজাদা। মূলত এটাই শাহাজাদার কাজ বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। 

আরও পড়ুন: কলকাতা এসটিএফের জালে আনসারউল্লা বাংলার জঙ্গি, নেপাল সীমান্তে পাকড়াও আফতাব

পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে শিলিগুড়িতে ঘাঁটি গড়েছিল ওমর ফারুখ ওরফে মাহি। এরপরই সে আফতাব খান নাম নিয়ে হাওড়ার একটি লজে ওঠে। সেই লজে মাহির সঙ্গে ছিল তনভির, যে ইতিমধ্যেই এসটিএফের জালে ধরা পড়েছে। মূলত তাকে জেরা করেই মাহির নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তনভির গ্রেফতার হওয়ার পর মাহি হাওড়ার ওই লজ থেকে পালিয়ে দুর্গাপুরে বেশ কিছুদিন লুকিয়ে থাকে। দুর্গাপুর থেকে ফের শিলিগুড়িতে যায় মাহি। এরপর সেখানে পানিট্যাঙ্কিতে আস্তানা গাড়ে সে। নেপাল পালিয়ে ‌যাওয়ার ছকও কষছিল এই জঙ্গি। এরপরই তার পিছু নেয় এসটিএফ। মঙ্গলবার নেপাল সীমান্ত লাগোয় একটি জায়গা থেকে আফতাব ওরফে ওমরকে ধরা হয়। এসটিএফ সূত্রে খবর, ২০১৬-য় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে খুনের ছক কষেছিল ওমর ফারুখ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালকে খুনের ছক কষেছিল তারা। পটাসিয়াম সায়ানাইড, স্ক্র ড্রাইভার, বন্দুক ছিল খুনের সরঞ্জাম।  তদন্তকারীদের কাছে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি মাহির।

 

 

.